বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানিয়েছে সরকার - মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৭ এএম, ২৩ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:২১ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সরকারের ব্যর্থতায় দেশে দুঃসহ অবস্থা তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকার দেশের মানুষের কথা বলা সহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাস পর থেকেই কৃষি খাত সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে অনবদ্য ভুমিকা পালন করে আসছে। আপনারা জানেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণে দেশে দুঃসহ অবস্থা তৈরি হয়েছে। আজকে দুদিন আগে নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের মাঝে যে ঘটনা সেটা হলো ছাত্রলীগ ও পুলিশের ইন্ধনে। এজন্য তারাই দায়ী। উল্টো তারা বিএনপি নেতার নামে মামলা দিয়েছে। আমি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাই।
বিএনপি মহাসচিব সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তারা আমাদের মানবাধিকার কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়ে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এমতাবস্থায় গণতন্ত্র রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকল পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান। জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ পারভেজ রেজা কাকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
এছাড়া ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন বিএনপির আব্দুল হাই শিকদার, প্রকৌশলী আ ন হ আক্তার হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, অধ্যাপক ড এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, রিয়াজ উদ্দিন নসু, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আ ক ম মোজাম্মেল হক, রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দীন দিদার, জেডআরএফের অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, ডাঃ সৈয়দা তাজনীন ওয়ারিস সিমকী, প্রকৌশলী খালিদ হাসান চৌধুরী পাহিন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, রাকিবুল হাসান চৌধুরী, কৃষিবিদ আনোয়ারুন নবী মজুমদার বাবলা, শফিউল আলম দিদার, সানোয়ার আলম, প্রকৌশলী হাসিন আহমেদ, ডাঃ সাজিদ ইমতিয়াজ উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, গোলাম সারোয়ার, আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মোঃ হারুন-অর-রশিদ, কৃষকদলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নূরুল ইসলাম নয়ন, খন্দকার এনামুল হক এনাম, রবিউল ইসলাম নয়ন, মৎস্যজীবী দলের মোঃ আব্দুর রহিম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, ওলামা দলের শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, ছাত্রদলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, রাশেদ ইকবাল খান, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আবু আফসান মোঃ ইয়াহইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ, অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল, অধ্যাপক ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেসানী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোঃ নূরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছবিরুল ইসলাম হায়দার, অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, অধ্যাপক মাসুদুল হাসান খান মুক্তা, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো: আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুর রাজ্জাক, উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খান মোঃ মনোয়ারুল ইসলাম, ড্যাবের অধ্যাপক অধ্যাপক ডাঃ একেএম আজিজুল হক, অধ্যাপক ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ডা. হারুন আল রশিদ, ডাঃ মোঃ আবদুস সালাম, অধ্যাপক ডাঃ নূরুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডাঃ আমিনুল হক, ডাঃ এমএ সেলিম, ডাঃ জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডাঃ আহমেদ শফিকুল হায়দার চৌধুরী পারভেজ, ডাঃ মাসুদ আখতার জীতু, ডাঃ শাহ মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, ডাঃ সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, সাংবাদিক নেতা কামাল উদ্দিন সবুজ, রুহুল আমিন গাজী, ইলিয়াস খান, কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা সংগঠন শক্তিশালী করছি। যারা বলে বিএনপি আন্দোলন করেনা। রোজা গেলে বুঝতে পারবেন আন্দোলন কাকে বলে! আমাদের আন্দোলন চলছে। হয়তো সাময়িক বিরতি আছে। বিরোধীদলকে জেলে ভরে কেটে মেরে বলছেন দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। মনে রাখবেন বিএনপি এখনো আছে এবং থাকবে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজনীতির সাছে সমাজের সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কাজ করছে। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের সময় অসংখ্য সেবামূলক কাজ করেছে ফাউন্ডেশন। সমাজের সাথে সংযোগ বজায় রাখছে জেডআরএফ। মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে দেশের আসল চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। দেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা ও আইনের শাসন খর্ব করা হয়েছে সেগুলো বলা হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে কারাবন্দী করা হয়েছে। দেশে আইনের শাসন নেই। বিচার ব্যাবস্থা ভেঙে পড়েছে। সরকার অন্যায়ভাবে নির্যাতন নিপীড়ন করছে। আর সরকার মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে।