অস্ত্র ও অর্থপাচার মামলার পর মাদক মামলায়ও সম্রাটের জামিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৫ পিএম, ১১ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০৬ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
অস্ত্র ও অর্থপাচার মামলার পর এবার রাজধানীর রমনা থানার মাদক মামলায় জামিন পেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে তার জামিনের আদেশ দেন। এতে তার বিরুদ্ধে চলমান চার মামলার মধ্যে তিন মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট।
তবে দুদকের করা মামলায় সম্রাট গ্রেফতার থাকায় এখনই তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। বুধবার (১৩ এপ্রিল) সম্রাটের উপস্থিতিতে এ মামলার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে রোববার (১০ এপ্রিল) অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ জামিন মঞ্জুর করেন।
সম্রাটের পক্ষে জামিন শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত সম্রাটের জামিনের আদেশ দেন।
পরে সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। রোববার (১০ এপ্রিল) অস্ত্র এবং অর্থপাচার মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। আজ (সোমবার) মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আর একটি মামলা আছে দুদকের। ওই মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন। আশা করছি, অতি শিগগিরই জামিন নিয়ে তিনি কারামুক্ত হবেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে ওইদিন দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্য প্রাণীর চামড়া জব্দ করা হয়।
বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়। পরদিন ৭ অক্টোবর বিকেলে র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক মামলা করেন। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই আ. হালিম।