ক্ষমতাসীনদের শোষণ আর লুণ্ঠনে দেশে দুঃসহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১০ এপ্রিল,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০১ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের শোষণ আর লুণ্ঠনে দেশে দুঃসহ এক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, যা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এই অবস্থায় দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ রবিবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর লেখা এবং কবি আব্দুল হাই শিকদার সম্পাদিত ‘মাও সেতুঙ ও বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সাদামাটাভাবে যেটা বুঝি, এখন দুঃসময়, যা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। অস্বাভাবিক, দুঃসহ একটা যন্ত্রণা এখন বাংলাদেশে। এই রকম যন্ত্রণা থেকে মানুষ মুক্তি চায়।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে শোষণ ছাড়া কিছু নেই। একটা মাত্র বিষয় আছে এখানে, শোষণ এবং প্রতিটা ক্ষেত্রে শোষণ আর লুণ্ঠন। বাংলাদেশের শোষণটাকে দুর করতে হবে। দেশটাকে বাসযোগ্য করতে হবে। পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের মুক্তির পথটাকে খুঁজে বের করতে হবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
মুক্তির জন্য মাওলানা ভাসানীর মত মানুষদের পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মওলানা ভাসানীসহ তার মত পূবপূরুষদের পথ অনুসরণ করে আজকে আমাদের একটা ঘটনা ঘটাতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি, একটা অভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে।'
সরকারের দুর্নীতি, অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে সবাইকে লড়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, বিএনপি’র ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়ে রেখেছে এই সরকার। দেশের মানুষ যন্ত্রণায় আছে, এসব থেকে পরিত্রাণ চায় সবাই। এমন অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে লড়তে হবে।
চীনের অভূতপূর্ব উন্নতির প্রশংসা করে মহাসচিব বলেন সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুন্দর, বাসযোগ্য ও উন্নত রাষ্ট্র পায়। যেমনভাবে উন্নতি করেছে চীন। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া যেভাবে দেশের সেবা করেছেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই পতাকা বহন করছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
এসময় বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, দেশের পাঠ্যপুস্তক বইয়ে একজনের আবদান ছাড়া আর কারো নাম নেই- এমনকি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে পর্যন্ত তারা অস্বীকার করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।