সরকারের কারো কাছে ধরনা প্রয়োজন হয় না - কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৯ এএম, ৯ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩৩ এএম, ১০ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারো কাছে ধরনা দেয়ার প্রয়োজন হয় না।
আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আর এদেশের মানুষের হৃদয়ের আবেগ ও অবিভাজিত বোধের এক অপরাজেয় শক্তির নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারো কাছে ধরনা দেয়ার প্রয়োজন হয় না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জানে, রাজনীতি করতে হলে জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু ক্ষমতালিপ্স বিএনপি বরাবরই হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু করেনি। বিএনপির এই অপরাজনীতির কারণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গণতন্ত্র সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের ফল। কিন্তু গণতন্ত্রকে নসাৎ করে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপরাজনীতি শুরু করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যের বিপরীতে বিভেদের অপরাজনীতির প্রচলন করে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই- বিদেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার কোনো প্রভু নেই। ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত এই পথেই আওয়ামী লীগ সরকার পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করে। যেখানে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থই মূল বিবেচ্য বিষয়। দেশের মানুষের কল্যাণ কিংবা দেশের স্বার্থ রক্ষায় আপসহীন মনোভাব পোষণ করায় বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনাকে বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতিতে বিদেশনির্ভরতা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের নেতা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে থেকে আয়েশী জীবনযাপন করছেন। এমনকি কোনো কোনো দেশের সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথেই ঢাকায় তাদের দূতাবাস খোলার আগেই বিএনপি নেতৃবৃন্দ ফুল ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টাও করেছে বিএনপি। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজশে যে কোনো উপায়ে তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়।
বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কাউকে আনা না আনা সরকারের দায়িত্ব না। আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। তবে আমরা প্রত্যাশা করি, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনীতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে জনকল্যাণের রাজনীতিতে নিজেদের নিয়োজিত করবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে কোনো উপায়ে বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত।