ভোটে কারচুপি হলে দায় ওবায়দুল কাদেরের-কাদের মির্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ১৩ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:০১ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
দেশের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে অন্যতম আলোচিত নাম আবদুল কাদের মির্জা। নিজের দল এবং দলীয় নেতাদের তীব্র সমালোচনা করে হঠাৎ লাইমলাইটে চলে এসেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এই ছোট ভাই। নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী কাদের মির্জা এবার সাফ জানালেন, ভোট সুষ্ঠু না হলে দায় ওবায়দুল কাদেরের।
‘সত্যবচনের’ ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে নিজের নির্বাচনী অফিসে বসে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমার ভাই ওবায়দুল কাদের একজন জাতীয় নেতা, তাই তিনি হয়তো অনেক কথা চাইলেও বলতে পারেন না। আমার ক্ষেত্রে সেই অসুবিধাটা নেই। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।
‘অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলতে চাই, যদি আসন্ন বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয় তাহলে এর দায় নিতে হবে ওবায়দুল কাদেরকে। কারণ তিনি এই আসনের এমপি। এই এলাকার ভালো কিছুর জন্য তার যেমন প্রশংসা প্রাপ্য, তেমনি খারাপ হলেও দায় নিতে হবে।’ যোগ করেন আবদুল কাদের মির্জা।
কিছুদিন আগে নোয়াখালীর রাজনীতি প্রসঙ্গে একটি বক্তব্য দেওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে আলোচনা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমাদের নোয়াখালীর আওয়ামী লীগের এমপিরা পালানোর পথও খুঁজে পাবে না।’ তার এই বক্তব্য সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এমন বক্তব্যের পর ‘দলের বিভিন্ন পর্যায় থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে’ জানিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সত্য আমাকে বলতেই হবে, কারণ আমি কমিটেড।
এরপর থেকে প্রতিদিনই তিনি কিছু না কিছু বলে যাচ্ছেন নিজের দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে।
হঠাৎ করে এমন সত্য কেন বলতে হবে, এই প্রশ্নের জবাবে আবদুল কাদের মির্জা বলেন- আমার একটা অসুখ হয়েছিল, চিকিৎসার জন্য আমেরিকা গিয়েছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর টিউমার ধরা পড়ে। বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠি। তখনই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আর যতদিন বাঁচবো, সাহস করে সত্য বলবো।
এক সাক্ষাৎকারে আবদুল কাদের মির্জা আরো বলেন, আওয়ামী লীগে ত্যাগী নেতারা রাজনীতি করতে পারছে না। তার বদলে দাপট দেখাচ্ছে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, খুনী-সন্ত্রাসী আর অতি উৎসাহীরা। গত সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা আমাদের প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতাদের কাছে একটা ফল চেয়েছিলেন। অতি উৎসাহীরা তাকে গাছশুদ্ধ দিয়ে দিয়েছে। তাতে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে।