জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে মানুষ বেয়াকুব হয়ে গেছে : মান্না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ২ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৫০ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, জিনিসপত্রের দাম এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে, মানুষ বেয়াকুব হয়ে গেছে। কিন্তু গত দু'দিন আগে সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন দাম যা বেড়েছে তা জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। তিনি বলেন, এই সরকারের ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা ছিল। সেই চালের দাম এখন ৭০ টাকা। তারপরও সরকারের লজ্জা নেই। তারা বলে দাম বেড়েছে সমস্যা নেই। মানুষের কেনার ক্ষমতা আছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যদি বাড়ে তাহলে মানুষ ভ্রমণ করতে দেশের বাইরে যায়, টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইন দেয় না।
আজ শনিবার (২ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির প্রতীকী অনশনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, আগে কখনো মানুষকে প্যান্ট-শার্ট পড়ে টিসিবির গাড়ির পেছনে লাইন দিতে দেখিনি। তারপরও এক মন্ত্রী বলেন, ক্রয়ক্ষমতা তিনগুণ বেড়েছে। ওনি একটা বেয়াদব ও বেয়াকুব। এসব বেয়াদবকে এখন শায়েস্তা করার সময় হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ, ১৭ কোটি মানুষের প্রিয় মানুষ বেগম খালেদা জিয়া যখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তখন এতটুকো মায়া তারা দেখায়নি। ওদের কোনো দয়া মায়া নাই। মানুষ খুধায় মারা গেলে ওরা বলবে পেটের অসুখে মারা গেছে। ওদের কাছে দয়া মায়া নাই। তাই এমন আন্দোলন করতে হবে ওরা যেনো পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং পালাবার পথ না পায়।
পরে প্রতীকী অনশনের প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পানি পান করিয়ে প্রতীকী অনশন ভাঙান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আনোয়ারুল্লাহ।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান, উপদেষ্টা হাবিবুর রশিদ হাবিব, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয় সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সমাজসেবা সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, ঢাকা দক্ষিনের মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইঁয়া জুয়েল, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান মিন্টু, আব্দুস সত্তার প্রমুখ।