স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন উপলক্ষে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪০ পিএম, ১২ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৯ এএম, ৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী পালন উপলক্ষে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সভায় বক্তারা ব্যাপক কর্মসুচির মধ্য দিয়ে জমকালো অনুষ্ঠান করে মাসব্যাপী সুবর্ন জয়ন্তী উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ রাজশাহী নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সভার সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক মেয়র ও এমপি মিজানুর রহমান মিনু বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সুবর্নজয়ন্তী উৎসবকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক কর্মসুচির মাধ্যমে আন্দোলন তৈরী করে সরকারের পতন ঘটানো হবে। এ লক্ষে বিএনপির লড়াকু সৈনিকদের রাজপথে নেমে আসতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল বিএনপি চার দেয়ালের মধ্যে কর্মসুচি পালন করবে না।
তিনি বলেন, দেশে আজ সাংবিধানিক শাসন নেই। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলেই দেশে মহামারি দুর্ভিক্ষ, লুটতরাজ, রাহাজানি শুরু হয়ে যায়। এই অবস্থা থেকে দেশকে পুনঃরুদ্ধারের জন্য বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে রাজপথে নেমে আসতে হবে।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, আওয়ামীলীগ মিথ্যাকে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে সত্যতে পরিনত করছে। গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে। স্বাধীনতার পরবর্তী ঘটনায় মানুষ বীতশ্রদ্ধ ছিলো। প্রবাদ ছিলো ‘জয় বাংলা ঘটিবাটি সামলা’ এই ছিলো আওয়মীলীগ। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত বয়ান তুলে ধরে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে। নতুন দিশা নতুন ঘোষনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে এই সুবর্ন জয়ন্তীর উৎসবে। তিনি শহীদ জিয়ার আদর্শ ধারন করে তরুন সমাজকে উব্দুদ্ধ করার লক্ষে প্রতিটি জেলায় বর্ণাঢ্য সাইকেল র্যালী প্রস্তাব করেন।
সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ছিলেন। তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ দুর্ণীতির মহোৎসব চলছে। সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে কবরে পাঠিয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল নির্বাচন করে ক্ষমতা আকড়ে রেখেছে। অথচ ইভিএম পদ্ধতি বাতিল হচ্ছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে দেশে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠিক সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মিডিয়া কমিটির সুবর্নজয়ন্তী উৎসব কমিটির সদস্য সচিব সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ এমপি, বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস,
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সংসদ সদস্য গোলাম মোঃ সিরাজ, মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজের সাবেক ভিপি খায়রুন নাহার মিরু, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ শাহীন শওকত, রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক, পাবনা যুবদলের সহ-সভাপতি সাব্বির হোসেন সঞ্জু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ সাইফুল ইাসলাম মার্শাল, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব নবী নেওয়াজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির পক্ষে সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান, জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ শামসুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য আসিফা আশরাফী পাপিয়া, নঁওগা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাফিজুর রহমান, পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মান্নান মাষ্টার, বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফজলূল বারী তালুকদার বেলাল, নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।
সমন্বয় সভায় রাজশাহী বিভাগের ১০ জেলার সভাপতি, সাধারন সম্পাদকগণ ও আহবায়ক যুগ্ম আহবায়ক গন উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ বক্তৃতায় সুবর্নজয়ন্তী উৎসবকে আন্দোলনে রুপ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গঠিত কেন্দ্রীয় মিডিয়া কমিটির রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম সদস্য সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, মিডিয়া ও প্রচার সেলের অন্যতম সদস্য রাজশাহীর কৃতি সন্তান মাহমুদা হাবীবা, পাবনা জেলা যুবদলের আহবায়ক হিমেল রানা প্রমুখ।