দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও দূর্নীতির প্রতিবাদে সৈয়দপুরে বিএনপি'র প্রতীকী অনশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ৩০ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২৯ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিসহ সর্বগ্রাসী দূর্নীতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নীলফামারীর সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীরা প্রতীকী অনশন কর্মসুচি পালন করেছে।
আজ বুধবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ওই কর্মসূচি পালন করা হয়।
শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রতিকী অনশনে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি'র আহবায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে প্রতিকী অনশন চলাকালে নিত্যপণ্যের মূল্য উর্ধ্বগতি ও সর্বগ্রাসী দূর্নীতির প্রতিবাদে বক্তব্য বলেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহিন আকতার শাহিন, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম জনি, থানা বিএনপির আহবায়ক রেজাউল করিম লোকমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম ও মনোয়ার হোসেন, সৈয়দপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক শেখ বাবলু, যুগ্ম আহবায়ক আবু সরকার, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন হাবলু, সৈয়দপুর জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি আবু নাসিম মিঠু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল খান, জেলা মহিলাদল সভানেত্রী রওনক জাহান রেনু ও সাধারণ সম্পাদক রুপা বেগম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বর্তমান সরকারের স্বৈরাচারূ আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, সর্বক্ষেত্রে দূর্নীতির মহোৎসব চলছে। ফলে সারা দেশে সর্বত্র অরাজকতা চলছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবলে চলে গেছে নিত্যপণ্যের বাজার। এতে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে দ্রব্যমূল্য। পাগলা ঘোড়ার মতো প্রতিটি পণ্যের মূল্য বাড়লেও এসব নিয়ন্ত্রণে লাগাম টেনে ধরার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে সরকার। আর এসবের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।
তারা বলেন, দিনের ভোট রাতে করার মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছে। ক্ষমতা পেয়ে কুক্ষিগত পাথরের মত চেপে বসা এই সরকারের ন্যুনতম নৈতিকতা নেই। তারা জনগণের ভাষা বোঝেনা বলেই জনস্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এভাবে আর বেশিদিন চলতে পারেনা উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন এদেশে কোন স্বৈরাচার টিকতে পারেনি আর আপনারাও পারবেনা। অচিরেই গণবিক্ষোভে তছনছ হয়ে যাবে আপনাদের চেয়ার। বক্তারা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানিয়ে নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান। অন্যথায় দূর্বার গণআন্দোলনে দাবি আদায় করা হবে বলে বক্তারা হুশিয়ারি দেন।