সাটুরিয়ায় ফুল দেয়া নিয়ে আ'লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২৬ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:২৮ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সাটুরিয়ায় শহীদ বেদিতে ফুল দিতে এসে বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ থেকে ৭ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রহুল আমিন শহীদ বেদিতে ফুল দেন। পরে বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাংশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল সালাম সরদার তার সমর্থকদের নিয়ে ফুল দেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা মো. জাকির হোসেনসহ সাবেক চেয়ারম্যান রহুল আমিনের সমর্থকরা ও বর্তমান চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান সোহেল চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল বাঁধে। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জাকির ও নাজমুল হোনেনসহ কয়েকজন আহত হয়। নাজমুলের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রহুল আমিন জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুল দিয়েছি। এরপর আওয়ামী লীগের ব্যানারে বহিষ্কৃত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মীর সোহেল আহম্মেদ চৌধুরী তাদেরর সাথে আরেকটি ফুল দিতে গেল আমি আপত্তি করি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। যা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
বালিয়াটি ইউপি চেয়ারম্যান মীর সোহেল আহম্মেদ চৌধুরী জানান, আমি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে ফুল দেই। পরে দলীয় আওয়ামী লীগের ব্যানারে ফুল দেই।
আমি বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে জয়লাভ করি। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করে। পরে বহিষ্কার প্রত্যাহার করা হয়। এ কারণে দলীয় ব্যানারে ফুল দিয়েছি। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রহুল আমিন আপত্তি করলে সংঘর্ষের রূপ নেয়।
সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আফাজ উদ্দিন বলেন, শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা কলে যারা এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো বলেন, যারা এই স্বাধীনতা দিবসে দলীয় শৃঙ্খল ভঙ্গ করেছে এবং হামলা করেছে তারা এদেশে বিএনপি জামায়াতের দূসর। এদের চিহিৃত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাটুরিয়া থানাও ওসি আশরাফুল আলম বলেন, ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।