সত্য ঘটনা সামনে এলে আ'লীগের রাজনীতি থাকবে না : ড. মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৫ পিএম, ২৩ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৪০ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সত্য ঘটনাগুলো সামনে এলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা যদি বইয়ে লেখা হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ জানে তারা যে মিথ্যাচার করছে তা সকল ক্ষেত্রে ধরা পড়ে যাবে। তাদের রাজনীতি থাকবে না।’
আজ বুধবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলানায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সত্য সত্যই থাকে, ইতিহাস ইতিহাসই। ইতিহাসকে কেউ বিকৃত করতে পারে না। যারা এই ইতিহাস বিকৃতি করার চেষ্টা করছেন সময়মতো এসবও ঐতিহাসিকরা ইতিহাসে লিখবেন।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে দুর্বল করা কখনো সম্ভব না। এই সরকার বিগত চৌদ্দ বছর যাবৎ বিএনপির উপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে, নেতাকর্মীদের বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করছে, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ তাকেও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয় নাই, তারপরেও বিএনপি দুর্বল হয় নাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি মাত্র লক্ষ্য- এই সরকারের হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে সকল গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের মধ্যে ইস্পাতকঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে এই সরকারকে সরিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সব দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সব সময় তা সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে। বিশ্বের কোনো দেশে বাংলাদেশের মতো মুক্তিযুদ্ধকে বেচাবিক্রি করার কালচার নেই।’
তিনি বলেন, ‘একমাত্র বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে রাজনৈতিক বেচাবিক্রি এবং এটাকে পুঁজি করে বেঁচে থাকতে চায়। আর এটা ক্ষমতাশীনরা যখন করে তখন সেটা ইতিহাস তো হয়ই না, এটা প্রোপাগান্ডা হতে পারে।’
বিএনপির ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম প্রমুখ।