ধর্ষণের অভিযোগে বহিষ্কার হলেন ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ২১ মার্চ,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৯ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে সংগঠন থেকে বহিষ্কার হয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকিফ আহমেদ।
গত ২০ মার্চ দায়ের অভিযোগ ও অভিযুক্তের স্বীকারোক্তিমূলক পদত্যাগপত্রের ভিত্তিতে সোমবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এ বহিষ্কারাদেশ দেন সংগঠনটির উর্ধ্বতন নেতারা।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত বহিষ্কারাদেশে অভিযোগ এবং স্বীকারোক্তি বিবেচনায় ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের ৩৪তম কার্যনির্বাহী পরিষদের দ্বিতীয় সভায় গঠনতন্ত্রের ধারা মোতাবেক অভিযুক্ত আকিফ আহমেদকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সংগঠনের যেকোনো স্তরের যেকোনো কার্যক্রমের সাথে অভিযুক্ত আকিফ আহমেদের সংশ্লিষ্টতা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
অভিযোগকারী আগামীতে যেকোনো (আইনি) পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়ন সর্বোচ্চ সহযোগিতামূলক আচরণ প্রদর্শন করবে বলেও জানানো হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত আকিফ আহমেদ বলেন, এক বছর আগে তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালে এমন কিছু হয়েছিল। পরবর্তীতে আমরা আবার রিলেশনে যাই এবং দু’জনের মাঝে বনাবনি না হওয়ায় ২ মাস আগে আবার সম্পর্কচ্ছেদ হয়। এখন তার অন্য একটা ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে যার সাথে আমার ছাত্র ইউনিয়ন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের বিরোধ রয়েছে। তাই বলা যায়, ছাত্র ইউনিয়নে আমার দায়িত্ব গ্রহণের এ সময়ে এক বছরের পুরনো বিষয়ে অভিযোগ আনার পেছনে কোনো তৃতীয় ব্যক্তির স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখলে অনেক কিছুই বের হয়ে আসবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আদনান বলেন, এক বছরের পুরনো হোক আর ১০ বছর হোক, ভুক্তভোগী যেকোনো সময় চাইলে অভিযোগ করতে পারে। এখন এ বিষয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে এবং একইসাথে অভিযুক্তের লিখিত পদত্যাগপত্রও এসেছে। এ দু’য়ের সমন্বয়ে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে ওঠে যে, অভিযুক্ত আসলেই অপরাধী। তাই সাংগঠনিক জায়গা থেকে তাকে বহিষ্কার করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি শিমুল কুম্বকার বলেন, আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযুক্ত তার দায় স্বীকার করেছেন। অভিযোগ ও অভিযুক্তর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমরা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় তাকে বহিষ্কার করেছি।
এক বছরের পুরনো ঘটনা টেনে এনে অন্য কেউ এখানে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ, এখানে এমন কিছু থাকতেই পারে। তবে অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির কারণে আমাদের সেই বিষয়ে তদন্তের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। ফলে আমরা আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে বাধ্য হই।