চামচারা শেখ হাসিনার সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে: ওবায়দুল কাদেরের ভাই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৯ পিএম, ১১ জানুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৩৮ এএম, ১৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
যেকোনো সময় মেরে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা। তিনি বলেন, ‘যদি মারা যাই হাশরের ময়দানে দেখা হবে।’
তিনি আরো বলেন ‘চামচারা’ শেখ হাসিনার সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে আবদুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। সোমবার নির্বাচনী সভায় আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘ফেনীর একটা উপজেলা চেয়ারম্যান একরাম, তাঁকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে গাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দিয়েছে। নিজাম হাজারীকে জবাব দিতে হবে। কীভাবে লুটপাট চলছে, খবর নেন। চাকরি–বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি চলছে হাজার হাজার, লাখ লাখ টাকার। এসব চামচারা শেখ হাসিনার সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি যে কেন্দ্রে কেউ গন্ডগোল করবে, সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে ১০ বার নির্বাচন হবে। তবু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন আপনারা যদি দেখেন আমি অনিয়ম করছি, তাহলে আমি প্রার্থনা করে বলছি, হে খোদা, আমি যদি অনিয়মের ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হই, তাহলে তুমি আমাকে ভোটের দিনই মৃত্যু দিয়ো।’
আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘আজ সকালে এক জায়গা থেকে একজন বিএনপির প্রার্থী আমাকে ফোন করে বলে, ‘‘ভাই, আপনার এলাকায় বিএনপি ভোট করছে, আর আমি আমার বাড়ি থেকেও বের হতে পারছি না, ভোট করা তো দূরের কথা।’’ এই হলো অবস্থা, তারা বড় বড় কথা বলে।’
তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনাদের প্রতি অনুরোধ, যদি কোথাও কারচুপি হয়, সঙ্গে সঙ্গে আমাকে বলবেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেব। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাকে কোনো অন্যায় করতে দেওয়া হবে না।’
নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র চলছে, উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে যদি একটা মায়ের বুক খালি হয়, নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রহসন করা হয়, যদি একটা জাল ভোট কোথাও পড়ে, যদি কারও ঘরে আগুন লাগানো হয়, কারও খড়ের গাদায় আগুন লাগে তার দায়দায়িত্ব নোয়াখালীর ডিসি, এসপি ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিতে হবে।’
মাদক নিয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি সম্পর্কে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদক কি চলে? চললে প্রশাসনের কাজ কী? আমরা এখান থেকে সকালে ধরে দিলে বিকেলে ছেড়ে দেয়। তাহলে শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতি কোথায় গেল? নেত্রীকে অবজ্ঞা করছে তারা।’ তিনি প্রস্তাব করেন, ‘যারা এমপিসহ জনপ্রতিনিধি হবে, তারা মদ খেতে পারবে না, নারী–কেলেঙ্কারিতে জড়াতে পারবে না। দলের যেকোনো পর্যায়ের নেতা হতে হলে মদ–নারীর সঙ্গে থাকতে পারবে না।’
নির্বাচনী সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানসহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা ছাড়াও বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মীর সমাগমে পথসভাটি কার্যত সমাবেশে রূপ নেয়।