স্বধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাকির হোসেনের ৩ প্রস্তাবনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৯ পিএম, ১১ জানুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫০ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্বধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন খুলনা বিভাগীয় কমিটির প্রথম সভা গত ৯ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১১টায় বিভাগীয় কমিটির সম্মানিত আহবায়ক দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে যশোরে হোটেল ওরিয়ন ইন্টারন্যাশনালে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী জাতীয় কমিটির নির্দেশনায় বিভাগীয় পর্যায়ে ব্যাপক ভাবে অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণ ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপনের ব্যাপারে বক্তারা সভায় বক্তব্য রাখেন।
এসময় গত নির্বাচনে কুষ্টিয়া সদর - ৩ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার তিনটি প্রস্তাবনা পেশ করেন।
১. মুক্তিযুদ্ধের সময় যে সমস্ত কালজয়ী গান ও কবিতা সৃষ্টি হয়েছিল সেগুলোকে সামনে রেখে স্লোগান এবং থিম সং নতুন প্রজন্মের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
২. গত ১২ বছর আওয়ামীলীগের ক্ষমতা আমলে মুক্তিযুদ্ধ এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে যে নেতিবাচক প্রচারণা করা হয়েছে তা থেকে উত্তোরনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সহ খেতাব প্রাপ্ত প্রথিত যশা মুক্তিযাদ্ধাদের বীরত্ব এবং ভূমিকা উল্লেখ পুর্বক স্বস্ব এলাকার মুক্তিযুদ্ধর উপর প্রবন্ধ রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, প্রামাণ্য চিত্র ভিডিও ধারণ করে তুলে ধরা এবং তা স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করা। এতে সহজেই প্রমানিত হবে যে বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল।
৩. স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে অন্যান্য দেশের উন্নয়নের সাথে (সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া) বাংলাদেশর উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে জনগণকে সচেতন করে, "বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল" শ্লোগানের অসারতা প্রমান করা।
এসময় সভা উদযাপন কমিটির আরো প্রায় ৩৮জন সদস্য বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, স্বধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্র থেকে দেশব্যাপী কর্মসূচী পালানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করায় দেশনায়ক তারেক রহমান কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলা হয় তার সূচিন্তিত ভাবনা বাস্তবায়নে খুলনা বিভাগীয় কমিটি সফল ভাবে উদযাপনের সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।
সভায় খুলনা বিভাগের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সমুহে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের বর্ণাঢ্য আয়োজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধকালীন ঘটনাবলী লিপিবদ্ধ করে প্রচার ও প্রকাশনা ক্রোড়পত্র প্রকাশ, প্রচারপত্র, পোষ্টার প্রকাশসহ মুক্তিযুদ্ধের সময় খুলনা বিভাগীয় যাবতীয় ঘটনাবলী জাতির সামনে তুলে ধরার প্রস্তাব করা হয়।
সভা থেকে খুলনা বিভাগের ১০জেলা ও মহানগরীতে একযোগে কর্মসূচী পালন, থানা ইউনিয়ন গ্রাম পর্যায়ে কর্মসূচী পালনের জন্য জেলায় জেলায় প্রস্তুতি সভা, প্রস্তুতি কমিটি গঠন ,উপকমিটি গঠনসহ কর্মসূচী ও সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহনের প্রস্তাব করা হয়। খুলনা বিভাগের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, কৃষ্টি সংস্কৃতি জাতীয়ভাবে তুলে ধরার জন্য সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের মাধ্যমে করার প্রস্তাব নেয়া হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা, মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মুক্তিযুদ্ধের সাহসী ও বীরোচিত ভূমিকা, আধুনিক বাংলাদেশ গড়ায় তার অবদানের প্রকৃত ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য সুবর্ণ জয়ন্তীর মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়।
স্বধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইাসলাম মন্জু, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ - সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কৃষি সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সহতথ্য সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সহ ধর্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম, খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. মশিউর রহমান, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন, মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমদ সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, বাগরেহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আক্তার হোসেন তালিম, সদস্য সচিব মোজাফফর আলম , চূয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাহারুজ্জামান মোর্তজা, ফরিদা ইয়াসমিন, আয়েশা সিদ্দকী মনি, ফিরোজা বুলবুল কলি, সাবিরা নাজমুল মুন্নি, এমএ সালাম, ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সদ্য সচিব অ্যাড. এমএ মজিদ, বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন, ড.শেখ ফরিদুল ইসলাম, খায়রুজ্জামান শিপন, আবু সাঈদ শেখ প্রমুখ।