নারায়ণগঞ্জকে কিছু মানুষ অস্থির করতে চাচ্ছে - শামীম ওসমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১১ এএম, ১৪ মার্চ,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:২৯ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জকে অল্পসংখ্যক কিছু মানুষ অস্থির করতে চাচ্ছে। কেন তা জানি না। তবে আমরা বুঝতে পারি এটার টার্গেট কী। আমার এ হাত দিয়ে উনপঞ্চাশজন লোককে দাফন করেছি। আমার পোলিং এজেন্ট হওয়ায় এই মাসদাইরে খালা ও ভাগনীকে রেপ করা হয়েছিল।
আজ রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জে ইউনাইটেড ক্লাবের এক কর্মীসভায় একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি পদ পদবী দিতে পারব না। আমার সাথে থাকলে নিগৃহীত হতে হবে। রাজনীতিতে দু ধরনের নেতা আছে। একটা হল পদধারী নেতা, আরেকটা হল জননেতা। আমরা হিসাব দেব আমরা কত হাজার কোটি টাকার কাজ করেছি। উন্নয়ন দিয়ে আপনি মানুষের মন জয় করতে পারবেন না। মানুষ উন্নয়নের চেয়ে বেশি চায় শান্তি, তার চেয়ে বেশি চায় সম্মান, মাদকমুক্ত সমাজ। মানুষকে বুঝতে দিতে হবে আমার যতটুকু অধিকার আছে প্রধানমন্ত্রীরও ততটুকু ক্ষমতা আছে। গরীবের পেটে লাথি দিয়েন না।
শামীম ওসমান বলেন, আমাদের ৪৫ টা ওয়ার্ড আছে, আমরা ফরম্যাট বানিয়েছি। সেখানে সকল তথ্য থাকবে। এগুলো দিয়ে মিনিমাম ৫০১ সদস্যের কমিটি করবেন। এখানে কোন নেতা থাকতে পারবে না। আর পরিবারের কেউ অন্য কোন দল করে কিনা তাও উল্লেখিত থাকতে হবে। আমাদের কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে মারতে পারেনি। কে করল কাজটা, বাঙালিরা। নারায়ণগঞ্জে দাঁড়িয়ে একদল লোক বলে আরেকটা পনেরো আগষ্ট হবে এটা হবে ওটা হবে। এটা কোন ব্যাপার না। তারা বলতেই পারে। তবে যখন দেখি সেখানে আমাদের পাশে থাকা লোকেরাও আছে তখন সন্দেহ হয়। ওরা চায় নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঘাটিকে দুর্বল করতে। এখানে জঙ্গিবাদও আছে, তারা হিট এন্ড রান করতে চায়। তারা আমাদের দুর্বল করে ঢাকাকে আঘত করর চেষ্টা করবে। পচাত্তরের পনেরো আগষ্ট তো কোন দল ছিল না। সেদিন কি করেছি আমরা, নাসিম ওসমানের মত কিছু লোক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে অস্ত্র হাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, অনেকে অনেক কথা বলছে আমার জাহাজ আছে। দেন না দু চারটা, আমার জন্য ভাল। সাংবাদিকদের ডাকেন আমি আমার সম্পদের ফাইল দিব আপনি আপনারটা দেন। যদি কোন দুর্নীতি দেখাতে পারেন রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে চলে যাবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, আসাদুজ্জামান চেয়ারম্যান, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন প্রমূখ।