এই সরকারের পতন অনিবার্য : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১২ পিএম, ১০ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২৫ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এই সরকারের পতনই একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, পরিবর্তিত বিশ্বে বাংলাদেশের পরিবর্তন অনিবার্য, পরিবর্তন ঘটবে। এই সরকারও যাবে, সেদিন বেশি দূরে নয়, কাজটি যথা সময়ে হবে। এই অনিবার্য পতন আমাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদল আয়োজিত গরীব দুঃস্থ অসহায়দের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, আমরা যেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আর মার না খাই সেজন্য আমাদের চোখ-মুখের ভাষা প্রস্তুত রাখতে হবে। যেহেতু পিছনে যাওয়ার জায়গা নাই সেহেতু পিছনে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। তাই একটি মাত্র কাজ সেটি হচ্ছে সামনে অগ্রসর হওয়া, সামনে যাওয়ার সুযোগ আছে। আমরা যদি সাহস নিয়ে ওদের সামনে দাঁড়াই তখন গুলি করার সাহস পাবে না। প্রতিরোধ যা করার করেছে আর কোনো প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ওদের নাই।
গয়েশ্বর বলেন, যারা দিন আনে দিন খায়। তাদের মধ্যে অভাব, বেকারত্ব সংকোচিত, কর্মসংস্থান বাড়ছে না, কর্মসংস্থানের সুযোগ নাই, মানুষ আয়ের পথ খুঁজে পাচ্ছে না। দুর্নীতি অর্থপাচারের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতির শূন্যের কোঠায়। বিশ্ববাজারে তেলের দাম ক্রমান্বয়ে কমছে অথচ আমাদের দেশে তেলের দাম বেড়েই চলেছে। আমাদের দেশে জ্ঞানের অভাব আছে তারপরও আমরা ভারতে গ্যাস রপ্তানি করছি। সারাদেশে অভাব ও দুর্ভিক্ষ চলমান।
তিনি বলেন, আজকের অন্যায্য সরকারের ন্যায্যমূল্যের ট্রাকের সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। কারণ ক্ষুধায় লজ্জা টিকে না। সেই কারণে দেখা যায়, পোশাক-পরিচ্ছেদ ভালো অথচ লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এই লাইন ছোট নয়, লাইনটা অনেকটা বড় হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, এই লাইনে বেশিদিন জনগণকে আর রাখা যাবে না। আজকে ক্ষুধা নিবারণের একটি মাত্র পথ এই সরকারে পতন। আইনের শাসন ও ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করার একটি মাত্র পথ এই সরকারের পতন।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এর সভাপতিত্বে, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম জাকির, ওমর ফারুক কাউসার, মাজেদুল ইসলাম রুমন, মামুন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুগ্ম-সম্পাদক রাজু আহমেদ, রিয়াদ ইকবাল, নিজাম উদ্দীন রিপন, মাহবুব মিয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রনি প্রমুখ।