গফরগাঁওয়ে যুবলীগের হামলায় আহত যুবদল নেতাকে পিজি হাসপাতালে দেখতে গেলেন বিএনপির মহাসচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৩ এএম, ১০ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪৪ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলায় যুবলীগের হামলায় গুরুতর আহত স্থানীয় যুবদল নেতা মোশারফ মোল্লাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ব বিদ্যালয় হাসপাতালে আজ বুধবার বিকেলে দেখতে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোফাখ্খারুল ইসলাম রানার সার্বিক তত্ত্বাবধানে যুবদল নেতা মোশারফ উক্ত হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে চিকিৎসাধীনে আছেন।
বিএনপির মহাসচিবের কাছে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন চিকিৎসাধীন যুবদল নেতা মোশারফ মোল্লা। এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম তাকে শান্তনা দিয়ে বলেন, ধৈর্য ধরুন, অচিরেই সময়ের পরিবর্তন হবে। তিনি এসময় বর্বরোচিত এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান। এসময় তার সাথে ছিলেন, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মোফাখ্খারুল ইসলাম রানা, গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. ইসহাক, উপজেলা যুবদল নেতা সর্দার র্খুরম, গফরগাঁও থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোক্তার হোসেন, উপজেলার পাগলা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম এবং আহত যুবদল নেতা মোশারফ মোল্লার পিতা সিদ্দিক মোল্লা।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মোফাখ্খারুল ইসলাম রানা জানান, দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ময়মনসিংহ জেলা শহরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিএনপির বিভাগীয় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে যুবদল নেতা মোশারফের নেতৃত্বে তার (ডা. রানার) বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ওই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়। এর জের ধরেই গত ১ মার্চ দুপুর দেড়টায় প্রকাশ্যে স্থানীয় সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা চুন্নল্লা গ্রামে যুবলীগের সন্ত্রাসী আব্দুল কাইয়ুম ও আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীরা দা দিয়ে কুপিয়ে মোশারফ মোল্লার ডান পায়ের হাঁটুর রগ কেটে দেয় এবং ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি কেটে দিয়ে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে।