জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সরকার হটাতে হবে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ৭ মার্চ,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৩০ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সময়ক্ষেপণ না করে সরকার পতনের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন আর সময়ক্ষেপণ করার সুযোগ নেই। আসুন আমরা নিজেদের সঙ্ঘবদ্ধ করি। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করি। সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ করি। একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে তাদের পরাজিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
আজ সোমবার (৭ মার্চ) রাজনীতির সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ মিলনায়তনে তারেক রহমানের ১৬তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দাবি খুব পরিষ্কার। আমাদের প্রথম দাবি হচ্ছে, গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। যিনি গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। তাকে মুক্তি দিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার পরে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের নির্বাচন পরিচালনার মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের আর কোনো অধিকার নেই এই রাষ্ট্র পরিচালনা করার।
সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেক রহমানের যে অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে। এই দক্ষতার কারণেই তিনি অতি অল্প সময়ে সারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। এই দক্ষতা তারা দেখেছে। যখন তাকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এর দায়িত্ব দেয়া হয়, তখন তিনি তৃণমূল পর্যন্ত দেখাশোনা করেন। তখন তারা পরিকল্পনা করতে থাকেন যে, এই মানুষ যদি দেশে থাকে তাহলে তাদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। তাই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যত মিথ্যা মামলা একটার পর একটা দিয়েছে।
গ্রেনেড হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনটা এফআইআর-এ তারেক রহমানের নামে ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তদন্ত কর্মকর্তাদের পরিবর্তন করে তারেক রহমানের নাম ফাইলের যুক্ত করে নতুন করে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। কোনো প্রমাণ তার বিরুদ্ধে নেই। যে বিচারক তাকে মুক্ত দিয়েছিলেন, তাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। শুধু তাকে নয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা সাহেব, তাকেও দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে দুর্নীতি এখন এমন পর্যায়ে চলে গেছে সাধারণ মানুষের এখন আর বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। জিনিসপত্রের দাম এমনভাবে বাড়ানো হচ্ছে, যেখানে আর বেঁচে থাকার সুযোগ নেই।
বিএনপর সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপি'র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুছ আলী, যুবদলের সহ সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি গোলাম সোরোয়ার, সেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।