বিএনপির ৫০ বছরেও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই : হানিফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২১ পিএম, ৫ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০৫ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন বলেই দিশেহারা হয়ে সকাল-বিকাল, দুপুরে একেক কথা বলছে। তাদের আগামী ৫০ বছরেও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই।
আজ শনিবার (৫ মার্চ) সকালে তিনি শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
হানিফ বলেন, বিএনপি বিরোধী দলে থাকাবস্থায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে জনগণের ওপর বারবার আক্রমণ করেছে। যার ফলে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা নানা ধরনের মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তাদের লক্ষ্য একটাই- দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করা। কারণ তারা জানে, উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা যদি অব্যাহত থাকে; এ দেশের জনগণ সবসময় শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল থাকবে।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করার যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে- সে সম্পর্কে সরকার সজাগ আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনো অশুভ তৎপরতাকে রুখে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।
পাশপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে বিএনপির মিথ্যাচারে জনগণ যেন বিভ্রান্ত না হয়, সেজন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের কাছে আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা এবং চিত্রগুলো তুলে ধরতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে- এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই; সেটি বলতে হবে।
নতুন নির্বাচন কমিশন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে হানিফ আরও বলেন, বিএনপির এখন নতুন ইস্যু হল নির্বাচন কমিশন। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের প্রধানমন্ত্রী তালিকা দিয়েছে আর রাষ্ট্রপতি গ্যাজেট করে পাঠিয়ে দিয়েছে। এটি ছিল তাদের নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে নির্বাচন কমিশন গঠনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ পন্থা অবলম্বন করেছেন। রাষ্ট্রপতি সব দলের সাথে সংলাপের মাধ্যমে পরামর্শ করে তাদের দেয়া নামের ভিত্তিতে সার্চ কমিটি গঠন করে; সার্চ কমিটির নামগুলো যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এটাই ছিল গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সবচেয়ে উত্তম পন্থা।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
এছাড়া জেলার সংসদ সদস্যদের মধ্যে এবাদুল করিম বুলবুল, বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বর্ধিত সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।