উন্নয়নের রাজনীতি ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি - হানিফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৬ এএম, ৩ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪৪ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, উন্নয়নের রাজনীতি ব্যাহত করতে রাজপথে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। নানানভাবে মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে।
আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে তিনি সাংবাদিকদর এসব কথা বলেন।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি ’৭১-এর পরাজিত শক্তি, পাকিস্তানের দোসররা সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য রাজপথে নানামুখী মিথ্যাচার-অপপ্রচার করে চলছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপি শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি অব্যাহত আছে এবং বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভিত্তি হু-হু করে বাড়ছে। আমরা এখন আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছি। মাত্র ৬০০ ডলার ছিলো আমাদের মাথাপিছু আয়, এখন আমাদের ২৫০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এদেশ এক সময় ছিলো চরম দরিদ্রের দেশ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত ছিল। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত ছিলো। সেই বাংলাদেশ আজকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃিত পেয়েছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় শুধু বৃদ্ধি পায়নি, রফতানির আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য সংকট আমরা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি, খাদ্যে আজকে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন আজকে দৃশ্যমান। কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে, মাতারবাড়ী-পায়রা দুইটি সমুদ্র বন্দর হয়েছে। মেট্রোরেল হচ্ছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। এতো উন্নয়ন দেশের মানুষের ভালো লাগলেও বিএনপির ভালো লাগে না। প্রতিটা সেক্টরের শেখ হাসিনা উন্নয়নের স্বাক্ষর রাখতে পেরেছেন। উন্নয়ন-অর্জনের জন্য আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীর কাছে প্রসংশিত হচ্ছে।
হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢালাওভাবে মিথ্যাচার অপপ্রচার করেছে। তারা বলেছে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে না নিলে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব না। অথচ বেগম খালেদা জিয়া দেশের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার কোনো বিকল্প নেই।
নির্বাচন কমিশন আইন নিয়ে বিএনপি সকালে এক কথা বলে বিকেলে আরেক কথা বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, যখন নির্বাচন কমিশন গঠনের সময় আসলো, শেষ সময় বিএনপি দাবি করলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন আইন চাই। তখন আমাদের আইনমন্ত্রী বলেছিলেন এতো সল্প সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন করা কঠিন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল একাধিক বার বলেছিলেন, সরকার চাইলে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন একদিনে পাস করতে পারে। বিএনপির দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইনমন্ত্রী বিলটির খসড়া সংসদে উত্থাপন করলেন, সেখানে বিএনপি-জাতীয় পার্টিসহ সব দলের সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্তভাবে সংসদে উত্থাপন করলেন। সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাস হলো। বিলটি পাস হওয়ার পরে তাদের কথা চেঞ্জ। এখন বলে সরকার তড়িঘড়ি করে নির্বাচন কমিশন গঠন ও আইন তৈরি করলেন। বিএনপি সকালে এক কথা, বিকেলে আরেক কথা। মিথ্যাচারের রাজনীতি করা ছাড়া বিএনপির আর কিছু করার নেই। সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপনসহ অন্যরা।