সরকারের লুটপাটের কারণেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি - মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪০ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১১:২৩ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সরকারের লাগমহীন লুটপাটের কারণে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে জনগনের সাথে বেঈমানী করেছে। শেখ হাসিনা মাথায় হিজাব পড়ে, হাতে তসবি নিয়ে বলেছিল- তারা দশ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে, ঘরে ঘরে চাকরী দিবে, বিনা পয়সায় সার দিবে। কিন্তু তারা কিছুই দেয়নি। এটাই হচ্ছে আওয়ামীলীগ। তিনি আরও বলেন, দেশে ৪২টি টিভি চ্যানেল আছে, পত্রিকা অনেক কিন্তু লেখার স্বাধীনতা নেই। অথচ সংবিধান আমাকে এই অধিকার দিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা তা লঙ্গন করে দেশের জনগনকে ক্রীতদাস করে রেখেছে। মানুষের মুখে হাসি না, কৃষকের পাট-ধানের মূল্য নাই। আর আওয়ামীলীগ নিজেরা বড়লোক হওয়ার জন্য দূর্নীতি করছে। তারা দূর্নীতির টাকায় পকেট ভারী করে বিদেশে পাচার করছে। শেয়ার মার্কেটের কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগের লাগামহীন দূর্নীতির পরও মন্ত্রী বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে, শিক্ষামন্ত্রীর স্বজনরা ভূমি অধিগ্রহনের কাজে ৩৬৫ কোটি টাকা লুট করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় গুলো দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। ধংস্ব হয়ে গেছে শিক্ষা ব্যবস্থা। তিনি বলেন, গ্যাস বিদ্যাৎ পানির দাম ৪/৫ দফা বাড়ানো হয়েছে। সরকারের মন্ত্রীরা চুরি করে, ঘুষ খায়। দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় কি, বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।
আজ সোমবার দুপুরে নগরীর নতুন বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম। এ সময় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলীর যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, শরীফুল আলম প্রমূখ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা: মাহাবুবুর রহমান লিটন, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, কাজী রানা, একেএম মাহাবুবুল আলম, এড. এমএ হান্নান খান, ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার, শাহ নূরুল কবীর শাহীন, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এখনো সময় আছে, চাল ডাল তেলের দাম কমান, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির দাম কমান এবং জনগনের আশা আকাংখার প্রতি শ্রদ্ধা করে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিন এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনগনের হাতে ক্ষমতা দিন।
তাত্ত্বিকরা বলেন- তত্ত্বাধায়ক সরকার নাকি গণতন্ত্রের সাথে যায় না, এটা ভুল বক্তব্য। গণতন্ত্রই জনগনের আশা-আকাংখা, গনতন্ত্রের জন্য মানুষ নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। নিজের ভোট নিজে দিতে চায়, আর এটা করতে হলে তত্ত্বাধায়ক সরকার আনতে হবে। আবারও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিতে হবে। ইলেকশন কমিশন দিয়ে আবারও চোরা পথে ভোট নিয়ে চলে যাবা, সেই কাজ এবার আর হবে না। বার বার ঘু ঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এইবার ঘুঘু তোমার বধিব পরাণ। এইবার জনগন জেগে উঠেছে, তাদের সমস্ত চক্রান্ত রুখে দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে, দেশের জনগনকে মুক্ত করবে।
প্রসঙ্গত, বিএনপির এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল বেশ লক্ষ্যনীয়। ফলে সমাবেশের শুরু থেকেই দলে দলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগদান করে।