সব শ্রেণির মানুষই এখন টিসিবির লাইনে : নজরুল ইসলাম খান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০৫ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
টিসিবির পণ্য কিনতে সমাজের সব শ্রেণির মানুষই এখন লাইনে দাঁড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, এটাতে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানের প্রকৃত চিত্র দৃশ্যমান।
আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে এনপিপি চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
পিলখানায় নিহত শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে ২০ দলীয় জোট শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হয়।
২০০৯ সালে সংঘটিত পিলখানা ট্র্র্যাজেডির প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যে সরকারের আমলে এই ঘটনা ঘটেছে দায় সেই সরকারের ওপরই বর্তায়। পিলখানা ট্র্যাজেডিতে যত সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধেও এত কর্মকর্তা নিহত হয়নি। ওই ঘটনার তদন্তে সামরিক-বেসামরিক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু কোনোটিরই তদন্ত প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিচার আমরা পাইনি। বহুজন বিচারের আওতার বাইরে রয়ে গেছে। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় সেই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে আগ্রহী হবে- এটা ভাবা যায় না।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পেছনে সত্যিকার অর্থে কারা ছিল, কেন ওই ঘটনা ঘটেছিল অর্থাৎ ওই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হওয়া দরকার। দেশে জনগণের ভোটে কখনো গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে উপযুক্ত তদন্তপূর্বক ওই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিচার যাতে হয় আমাদের সেই আহ্বান থাকবে।’
২০ দলীয় জোটের এই সমন্বয়ক বলেন, ‘মানুষ আজ দারুণ কষ্টে আছে। একজন মন্ত্রী পর্যন্ত বলেছেন, ভালো পোশাক পরা লোকও টিসিবির লাইনে দাঁড়াচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে, টিসিবির পণ্য কিনতে এখন সমাজের সব শ্রেণির মানুষই লাইন দিচ্ছে। এটাতে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার প্রকৃত চিত্র দৃশ্যমান। হালাল উপার্জন করে এখন এই দেশে ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করে জীবন ধারণ করা সম্ভব নয়। তাই সমস্যা সমাধানে সরকার পরিবর্তন দরকার। প্রয়োজন জনগণের সরকার, যারা একযোগে দেশ ও দেশের জনগণের জন্য কাজ করবে।’
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ২০ দলীয় জোট শরিক জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, এনপিপির যুগ্ম-মহাসচিব মো: ফরিদ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মো: আবুল কালাম আজাদ, মো: ফখরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট শেখ ফরিদ, মো: তোতা মিয়া প্রমুখ।
ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার সামরিক ও বেসামরিক তদন্ত প্রতিবেদন অবিলম্বে প্রকাশের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘পিলখানার বিদ্রোহের ঘটনায় অনেক বিডিআর সদস্যের বিচার হয়েছে। তবে তাদের স্বজনরা মনে করেন তারা ন্যায়বিচার পাননি। তারা ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন। আমরাও মনে করি, ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।’