দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শিগগির কর্মসূচি দেবে বিএনপি : নজরুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৯ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:১৫ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে খুব শিগগির বিএনপি রাজপথের কর্মসূচি দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিপুন রায় চৌধুরীসহ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আব্দুস সালাম’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে’ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ড. আবুল বারকাত তার লেখা বইতে আছে, এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের যত সম্পত্তি দখল করা হয়েছে-তার শতকরা ৬০ ভাগেরও বেশি দখল করেছে শুধুই আওয়ামী লীগ। আর সেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, তার একটি থানার ওসি- একজন অ্যাডভোকেট, একজন রাজনৈতিক নেত্রী, আমাদের মেয়ে নিপুন রায় চৌধুরীকে বলেন মালাউন! কী করে সাহস পায়? এরপরও কেন সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয় না। তার কারণ হলো, এই সরকার জনগণের সমর্থনে টিকে নাই। এই সরকার টিকে আছে প্রশাসন ও পুলিশ দিয়ে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে না।’
বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমরা খুব শিগগিরই রাজপথে আন্দোলনে নামব। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই লড়াইয়ে সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সকল দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসুন।’
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি জন্য সরকারের দুর্নীতিকে দায়ী করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই করোনা মহামারির মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোটিপতি হয়েছে আর সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। এখন দারিদ্র্যতাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। মানুষ খুব কষ্টে আছে। টিসিবির ট্রাকের লাইনে মাফলার দিয়ে ও গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে দাঁড়ানোর চিত্রই তা প্রমাণ করে। একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব মানুষের কষ্ট লাঘব করা।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছে। দিনের ভোট রাতে করেছে। অন্যায়ভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে, তিনি অসুস্থ। তাকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে আমাদের মাঝে নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া এর কোনটাই সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। আর সেই কারণেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার করার যে লড়াই, সেই লড়াই জোরদার ও বেগবান করার জন্য আমরা এদেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক সংগঠন, ব্যক্তিসহ সবার কাছে অনুরোধ করছি, আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এবং যার যার অবস্থান থেকে কিংবা একযোগে আমরা এই অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করি। আন্দোলনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করি। ’
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির যুববিষয়ক সহসম্পাদক নেওয়াজ আলী নেওয়াজের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল,সাইফুল আলম নিরব, ডা. রফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম খান রবি, মশিউর রহমান বিপ্লব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম প্রমুখ।