কোম্পনীগঞ্জে অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে, প্রশাসন মাশওয়ারা খায়-কাদের মির্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৫ এএম, ১০ জানুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:২৯ এএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বড় ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেব (সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী) আমার ওপর রাগ করলে তাতে আমার কিছু যায়-আসে না বলে মন্তব্য করেছেন আব্দুল কাদের মির্জা। তিনি বলেন, ‘আমি আর কত সময় ধৈর্য ধরবো। আমার কিছু হলে তারা দায়ী থাকবেন।’
আজ শনিবার বসুরহাট পৌরসভার উপজেলা পরিষদের সামনে নির্বাচনি পথসভায় নিজের বড় ভাইকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত, ইসকান্দার বাবুল, আজমা পাশা চৌধুরী রুমেল। কাদের মির্জা বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে আজ অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে। কবিরহাট ও ফেনীতে এক বাড়িতে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। গত দুইদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র এনেছে, আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। নোয়াখালীর প্রশাসন মাসওয়ারা খায়।’
নোয়াখালী জেলা প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, ‘একজন এমপির নামযুক্ত মাস্ক কীভাবে আপনি পরেন। আপনি তো নিরপেক্ষ নন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার ওপর রাগ করবে, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। আমি আর কত ধৈর্য ধরব।’ তিনি বলেন, ‘আমি নোয়াখালীর এসপিকে বলেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অস্ত্রধারীরা এখনো মহড়া দিচ্ছে। বিগত সময় যেসব অস্ত্র জামায়াত-বিএনপি ব্যবহার করেছে তা এখনো উদ্ধার করা হয়নি। আমি অস্ত্রধারীদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করার অনুরোধ করছি।’ তিনি প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি করে বলেন, যদি কোম্পানীগঞ্জের নির্বাচন ঘিরে কোনো ষড়যন্ত্র হয়, রং লাগানো হয় কিংবা কোনো মায়ের বুক খালি হয় তাহলে ডিসি হবেন এক নম্বর আসামি আর এসপি হবেন দুই নম্বর আসামি।
নিজের নিরাপত্তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, ফেনী ও নোয়াখালীর ১১ জনের নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। আমার কিছু হলে তালিকার ১১ জন দায়ী থাকবেন। তিনি বলেন, ‘সকল কাদের প্রতিবাদ করি বলে আমাকে পাগল উন্মাদ বলে। এক নেতা আমাকে বলে আমার নাকি দায়িত্বশীলতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমি প্রশ্ন করি, আপনি দায়িত্বশীল ব্যক্তি। আপনার বাড়ি কুষ্টিয়া। আর সে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে। আপনি এগুলো বন্ধ করুন। আমি কাউকে ভয় পাই না। আমি সাদাকে সাদা আর কালো কে কালা বলবো।’