আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢেলে সাজানো হবে দল : আ.লীগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৩ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০৫ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে ঢেলে সাজানো হবে। যাতে দলের নতুন নেতৃত্বের ওপর জনগণের প্রত্যাশার জায়গাটা যেন আরও শক্তিশালী হয়, সুদৃঢ় হয়। এ লক্ষ্যে দলকে সম্মেলন করতে হবে। আর সম্মেলন করতে আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে খুলনার বিভাগের সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সভা হয়েছে ৷ আমাদের নেত্রী সেখানে কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই দিক নির্দেশনার আলোকে আমাদের আজকের এই ভার্চুয়াল সভা। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, তৃণমূল পর্যায়ে নেত্রীর যে নির্দেশনা ছিল, সম্মেলন করা, সংগঠনকে নতুন করে ঠেলে সাজানো।
তিনি বলেন, যারা দলের নির্দেশনা মানে না, তাদের বিষয়ে তো আমাদের আগে থেকেই নির্দেশনা আছে। যারা বহিষ্কার হয়েছে, সাময়িক বহিষ্কার হয়েছে, শোকজ হয়েছে, তাদের বিষয়টা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের নেতৃত্বে আনা যাবে না।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদেরকে নেতৃত্বে আনার সুযোগ নেই। কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই তারা আসতে পারে না। প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি হতে পারে না। যাদের বহিষ্কারাদেশ হয়েছে তাদেরকে জায়গা দেয়ার সুযোগ আছে কিন্তু সেটা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর। তার আগে তাদেরকে কোনো জায়গায় আনা যাবে না। যাদেরকে শোকজ করা হয়েছে, তাদের নিষ্পত্তি হওয়ার পর তারা পদে আসতে পারেন। কোভিড পরিস্থিতির কারণে সাংগঠনিক অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি। আগামী একুশে ফেব্রুয়ারির পর সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল হতে পারে বলে জানান আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা। খুলনা বিভাগের চার জেলায় সম্মেলন বাকী আছে। বাকি আটটি সাংগঠনিক জেলায় সম্মেলন হলেও অনেক উপজেলা সম্মেলন বাকি আছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার হবে বলে জানান বাহাউদ্দিন নাছিম।
তিনি বলেন, তিন মাসের মধ্যে খুলনা বিভাগের কার্যক্রম সম্মেলন করে তৃণমূল থেকে জেলা পর্যন্ত রি-অর্গানাইজ করার কাজ হাতে নিয়েছি তা সম্পন্ন করব। গতকাল এটা আমাদের পরিকল্পনা। সে অনুযায়ী ভার্চুয়াল সভায় আলোচনা হয়েছে। সব কিছুই নির্ভর করবে করোনার সংক্রমণের হারের ওপর।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভিন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট গোন্ডরিয়া সরকার ঝর্ণা।