আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃতরা দলের পদ পাবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৯ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:২৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
দল থেকে বহিষ্কার হওয়া কেউ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত দলের কোনো পদে আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এছাড়া যাদের শোকজ করা হয়েছে, তাদের উত্তর সন্তোষজনক না হলে তাদের বেলায়ও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত সাংগঠনিক জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলীয় সংসদ সদস্যরা এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো: আমিরুল আলম মিলন, পারভিন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সভা হয়েছে। আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনা সেখানে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সেই দিকনির্দেশনার আলোকে আমাদের আজকের এই ভার্চুয়াল সভা। মূল লক্ষ্যটা হচ্ছে, তৃণমূল পর্যায়ে নেত্রীর যে নির্দেশনা ছিল, সম্মেলন করা ও সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজানো।
তারা বলেন, ‘যারা দলের নির্দেশনা মানে না, তাদের বিষয়ে তো আমাদের আগে থেকেই নির্দেশনা আছে। যারা বহিষ্কার হয়েছে, সাময়িক বহিষ্কার হয়েছে, শোকজ হয়েছে, তাদেরটা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের নেতৃত্বে আনা যাবে না। এ বিষয়গুলোকে সামনে রেখে দলকে গণমুখী করা, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে ঢেলে সাজানো যাতে দলের নতুন নেতৃত্বের ওপর জনগণের প্রত্যাশার জায়গাটা আরো শক্তিশালী হয়, সুদৃঢ় হয়। এ লক্ষ্যে দলকে সম্মেলন করতে হবে।’
সভায় জানানো হয়, খুলনা বিভাগের চার জেলায় সম্মেলন বাকি আছে। বাকি আটটি সাংগঠনিক জেলায় সম্মেলন হলেও অনেক উপজেলা সম্মেলন বাকি আছে। আগামী তিন মাসে অর্থাৎ মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসের মধ্যে সবগুলোর সম্পন্ন করা হবে। রোজার মাসেও কিছু উপজেলার সম্মেলন হবে।
এছাড়াও, আগামী তিন মাসের মধ্যে খুলনা বিভাগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটের সম্মেলন করে তৃণমূল থেকে জেলা পর্যন্ত রি-অরগানাইজ করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এটা আমাদের পরিকল্পনা।