সার্চ কমিটির প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২৯ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটির প্রায় সকলেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জাতীয় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মকর্তা ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল বিএনপি'র জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি। বিএনপির ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে অনুসন্ধান কমিটি এবং তাদের দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশন কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে না। এজন্য বিএনপি- গঠিত অনুসন্ধান কমিটির বিষয়ে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করতে চায় না। বিএনপি মনে করে, এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অর্থহীন এবং অগ্রহণযোগ্য। তাছাড়া যাদের সমন্বয়ে এই অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা প্রায় সকলেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত। কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জাতীয় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মকর্তা ছিলেন।
তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে এই অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে তাদের লক্ষ্য থাকবে বিদায়ী কমিশনের মতোই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। এটা জনগণের সাথে আর একটি প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ধরনের তামাশা জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।
বিএনপি মনে করে কেবল নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সংক্রান্ত সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এই সঙ্কট উত্তরণ সম্ভব।
এ সময় তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম, সয়াবিন তেলসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ফখরুল।
সম্প্রতি বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের সাথে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসারের মৃত্যু এবং তিনজন সন্ত্রাসীর মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মনে করে সরকারের ব্যর্থতার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান।