ইতিহাসের টানিং পয়েন্ট ভাসানীর কাগমারী সম্মেলন : মোস্তফা ভুইয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৩ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১৭ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ইতিহাসে যার যেটুকু ভূমিকা, তা স্বীকার না করলে একদিন ইতিহাসই মুখ ফিরিয়ে নেবে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ১৯৫৭ সালে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আহবানে ও নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন ছিল উপমহাদেশ তথা তৎকালিন পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট।
আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এক কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। রাজনীতিকেরা ক্ষমতার চশমায় নিজেরা যেমন সবকিছু দেখতে অভ্যস্ত তেমনি অন্যদেরও দেখতে বাধ্য করছেন। যা শুভ লক্ষন নয়। ১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানীর আহ্বানে অনুষ্ঠিত কাগমারী সম্মেলন ছিল পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের প্রথম স্বাধীনতার ডাক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতি ও সংস্কৃতির স্রোতধারা এক মোহনায় মেশার উদাহরণ খুব বেশি নেই। রাজনীতির কুশীলবেরা বরাবর ক্ষমতাকে মোক্ষ ভাবেন এবং তার হাতিয়ার হলো রাজনীতি। এর ব্যতিক্রম ছিল বাহান্ন, উনসত্তর ও একাত্তর, যেখানে জনগণ ছিলেন 'নায়ক'। আন্দোলন-সংগ্রামের উত্তাল সেই সময়ে রাজনীতি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছিল।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, আমরা অনেকেই ইতিহাস ভুলে যাই এবং বর্তমানকে নিয়ে মশগুল থাকতে পছন্দ করি। কাগমারী সম্মেলনকে সাংস্কৃতিক সম্মেলন বলা হলেও এর রাজনৈতিক তাৎপর্য বিশাল এবং জাতির জীবনে সেই সম্মেলনের অভিঘাত হয়েছিল সুদূরপ্রসারী। কাগমারী সম্মেলন থেকেই মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের মানুষকে প্রত্যক্ষভাবে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন। এই সম্মেলনেই তিনি পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের "আসসালামু আলাইকুম" জানিয়েছিলেন। একটি নিরীহ ধর্মীয় সম্বোধন কীভাবে রাজনৈতিক প্রত্যয়ে রূপ নেয়, সেটা আজও গবেষণার দাবী রাখে। মওলানা ভাসানীর "আসসালামু আলাইকুম" শব্দটি স্বাধীনতার সমার্থক শব্দ হয়ে দাড়িয়েছিল।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া'র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মিতা রহমান, রেজাউল করিম রীবন প্রমুখ।