আ.লীগ কর্মীরা লুটতরাজ ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছে না - চুন্নু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৮ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৫৭ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো: মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আওয়ামী লীগ কর্মীরা এমনভাবে লুটপাট করছে যাতে আগামী ২০-৩০ বছরে তাদের আর অভাব হবে না। আওয়ামী লীগ কর্মীরা লুটতরাজ ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছে না। আর বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে ফেনী জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে এক মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিএনপি শুধু মুক্তি চাই, মুক্তি চাই বলে চিৎকার করছে। কিন্তু দেশের মানুষের দুর্দশার কথা এই দুটি দল ভাবছে না। সংসার চালাতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। মানুষের কাজ নেই, ঘরে ঘরে কয়েক কোটি বেকার দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো জোট নিয়ে ভাবছে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য তিনশ আসনেই প্রার্থীতা চূড়ান্ত করার কাজ করছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি তিনশ আসনেই প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করবে। দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্যের ইতিবাচক পরিবর্তন করতেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি। আগামী নির্বাচনের আগে দলকে আরো শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবে। দেশের মানুষ মাটির নিচ দিয়ে রেল লাইন আর আসমান দিয়ে সড়ক পথ দেখতে চায় না। দেশের মানুষ চায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে বিশেষায়িত হাসপাতাল, যেখানে তারা বিনামূল্যে সকল চিকিৎসা পাবে।
সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তারা আগামী নির্বাচনে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের লাঙ্গলে ভোট দিতে অপেক্ষা করছেন। ফেনী জেলা জাতীয় পার্টির মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লেঃ জেঃ (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, অতিরিক্ত মহাসচিব (চট্টগ্রাম বিভাগ) অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ বেলাল হোসেন, ফেনি জেলা আহবায়ক রাশেদ চৌধুরী প্রমুখ।