রংপুর কারমাইকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২২ পিএম, ২৬ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৫৯ এএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
রংপুর কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চলমান পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মদের হামলায় ৫ শিক্ষার্থী আহত হন বলে অভিযোগ কারী গন বলেছেন। তবে ছাত্রলীগ হামলার বিষয়টি নাকোচ করেছেন।
কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনার্সের চলমান বেশ কয়েকটি পরীক্ষা আকস্মিকভাবে করোনার কারণে স্থগিত করা হয়। এতে সাধারন শিক্ষার্থীরা চরম সংকটে পড়েছেন। এমনিতেই করোনার কারণে শিক্ষাজীবন দুই বছর পিছিয়ে গেছে। এ অবস্থায় স্থগিত করা পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রস্ততি নিলে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার নেতাকর্মীরা বিনা উসকানিতে স্লোগান দিয়ে এসে হামলা চালিয়ে ও কর্মসূচি পন্ড করে দেয়। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা সরকার বিরোধী কোনও কর্মসূচি পালন করছিলাম না। আমাদের দাবি ছিল স্থগিত পরীক্ষা দ্রুত নেয়ার জন্য। আমাদের কয়েকটা পরীক্ষা বাকি ছিল। সেগুলো নেয়ার দাবিতে আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ছাত্রলীগের হামলায় তা পণ্ড হয়ে যায়। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। এ ব্যাপারে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ সাংবাদিকদের বলেন, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করেছে। মুলত একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের অতি উৎসাহী নেতাকর্মী কলেজে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছিল। তবু ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের বাধা দেয়নি, উল্টো তারাই খারাপ ব্যবহার করেছে।
কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের যে কোনও দাবি নিয়ে মানববন্ধন করতেই পারে। তবে আমাকে জানালে ভালো হতো। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ বাধা দিয়ে থাকলে তা খুবই দুঃখজনক। ছাত্রদের বলেছি যে সব কলেজে অনার্স পরীক্ষা হয়। সে সব কলেজের শিক্ষার্থীরা দাবির সমর্থনে স্মারকলিপি দিতে পারে। আমরাও স্থগিত হওয়া পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করছি।