আমলাতন্ত্রের হাতে আমরা জিম্মি, পিয়ন পর্যন্ত আমাদের দাম দেয় না - এমপি নাজিম উদ্দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৭ এএম, ১৮ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১৫ পিএম, ৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আপনারা এমপি হয়ে আসছেন, দেখেন আপনারা পার্লামেন্টে আপনাদের কী রকম করে। শুধু স্যারটাই বলে। এই স্যারটা না বলে পারে না। আমরা আমলাতন্ত্রের হাতে জিম্মি হয়ে গেছি। আমলাতন্ত্রের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। সংসদ সদস্যদের বলবো, দয়া করে আমলাতন্ত্র থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আপনারা শক্ত হন। শক্ত না হলে তারা আমাদের গুরুত্ব দেবে না।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১টার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। প্রবীণ রাজনীতিক আরও বলেন, সত্য কথা বলতে আমরা যদি সংসদে কথা বলি তাহলে বিষয়টি বিরোধীদলের ফ্লোরের মতো হয়ে যায়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কিন্তু আমরা ভুগছি। আমলারা যেভাবে কথা বলেন! একটা এমপির মূল্য নেই আমলাদের কাছে। জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে একজন সচিবের কাছে গেলে কোনো মূল্যায়ন নেই। তারা যে আমাদের শ্রদ্ধা করবেন- সেই শ্রদ্ধাবোধ নেই। পিয়ন পর্যন্ত আজকে আমাদের দাম দেয় না। সংসদে এদিন তিনি বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার হয় দাবি করে বহুল ব্যবহৃত ভিডিও দেখার মাধ্যম ইউটিউব বন্ধের দাবি জানান।
ময়মনসিংহ-৩ আসনের সরকারদলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, ইউটিউবে দেখি খালেদা জিয়া মরে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা কালকেই ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাচ্ছেন। আবার দেখি সেনা প্রধানদের টেনে নামানো হচ্ছে। এই যে অপপ্রচার-প্রপাগান্ডা ইউটিউবে আমরা দেখি এগুলো কোত্থেকে আসছে? এভাবে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে, তথ্য মন্ত্রণালয় কী করে আমরা বুঝি না। কালকে সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনবেন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় নেই- এই যে কথাগুলো বলা হয়, আমরা স্তম্ভিত হয়ে যাই। বলা হয় সত্য ঘটনা। এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। গ্রামের মানুষগুলো এসব দেখে ভাবেন, না জানি বাংলাদেশে কী হচ্ছে! তথ্য মন্ত্রণালয়কে বলবো দরকার হলে ইউটিউব বন্ধ করে দেন। ক্রিমিন্যাল ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে আমাদের কোনো আপস থাকতে পারে না। তার নির্বাচনী এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজের প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও তাতে গতি নেই অভিযোগ করে তিনি বলেন, এলাকার স্কুল-কলেজ ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদ নির্মাণ কাজের ডিজাইন দেওয়া হলেও সেই কাজ হয়নি। সমস্ত কাজ একের পর এক বন্ধের পথে রয়েছে। ঠিকাদাররা বলেন টাকা পাইনি, কাজ কোত্থেকে করবো। এমপির কোটার ২০ কোটি টাকার কাজও করা হয় না। এ রকম হলে নির্বাচনের সময় মানুষের কাছে জবাব দিতে পারবো না। নির্বাচনের আগে সামনে দুই বছর সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে কাজগুলো শেষ করতে না পারলে নির্বাচনের সময় জনগণের সঙ্গে কথা বলতে পারবো না। এলাকায় মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রসঙ্গ টেনে ময়মনসিংহের গৌরীপুর থেকে নির্বাচিত এই এমপি বলেন, মডেল সমজিদ নির্মাণের জন্য তিন বছর আগে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট করার পরও এর নির্মাণ কাজ হচ্ছে না আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে। এখানে পিডি এক কথা বলেন, ডিসি আরেক কথা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে আরেক কথা বলা হয়। জমিসহ সমস্ত ব্যবস্থা থকলেও কেন যে কাজ শুরুৃএই প্রকল্পের পিডি সাহেবের মনে হয় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তার ভেতরে একটা দুর্বলতা রয়েছে।