অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলামকে গ্রেফতার লজ্জাজনক - ইউট্যাব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৭ পিএম, ১৪ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৩ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং উদ্বেগ জানিয়ে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়ে ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো: মোর্শেদ হাসান খান বলেন, একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলামকে তার বাসা থেকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার আদালতে নেয়া হলে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে প্রেরণের ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং উদ্বেজনক। আমরা শিক্ষক সমাজ এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ইউট্যাবের নেতৃদ্বয় বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার জন্য সর্বনাশা নীতি অবলম্বন করেছে। এই নীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যই হচ্ছে হুকুমবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চিরদিনের জন্য বিরোধী দল ও ভিন্ন মতের অস্তিত্বের অবসান ঘটানো। এই সরকার বিরোধীদল দমনে হয়রানি, জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ইত্যাদিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তাদের লক্ষ্য পূরণে বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের ধারাবাহিকতায় বিশ^বিদ্যালয়ের খ্যাতিমান শিক্ষক অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে বানোয়াট মামলায় গ্রেফতার ও জামিন বাতিল করে কারান্তরীণ করেছে।
তারা বলেন, বর্তমান সরকারের হিংস্র ছোবল থেকে নারী পুরুষ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। মিথ্যা অভিযোগে বিরোধীদলের নেতাকর্মীসহ দেশের গুণী মানুষদেরকে কারান্তরীণ রাখার অর্থ হচ্ছে- গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করা। জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে সরকার বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের জনগণের কাছ থেকে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন এই সরকার আরো বেশি ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছে। আর বিএনপির রাজনীতি তথা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ^াস করাটাই যেন তাজমেরী ইসলামের অপরাধ। এজন্যই তাকে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। মৌলিক ও মানবাধিকার বর্তমান সরকার আগেই ভুলুন্ঠিত করেছে। শাসকগোষ্ঠী দেশে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন এই সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।