সরকার দেশটাকে তছনছ করে দিয়েছে : গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৬ এএম, ১৪ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০২:০৪ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
আওয়ামী সরকার দেশটাকে তছনছ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার সহধর্মিণীর রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উদ্যোগে এ মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই মুহূর্তে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ হওয়া আমাদের জন্য দুঃখজনক। কেননা তার নেতৃত্বেই আমরা বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে দলকে উজ্জীবিত করছি। সরকার গত বছরও করোনা নিয়ে দুর্নীতি ও রাজনীতি করছে। এই সরকার দেশটাকে তছনছ করে দিয়েছে। যখন আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য জনগণ রাস্তায় নেমেছে তখন সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দিয়েছে। যাতে রাজনৈতিক দলগুলো আর আন্দোলন করতে না পারে। চলমান করোনা সংক্রমন পরিস্থিতিতে একই সাথে সরকারের বিধিনিষেধ ও নির্বাচন অনুষ্ঠান সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এটি কি বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে কিনা? নারায়ণগঞ্জে সিটি নির্বাচন চলছে। ইউপি নির্বাচনেও মারামারি কাটাকাটি যা হওয়ার হচ্ছে। সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করার পরেও এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করে নাই। তাহলে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর নির্বাচন করা কি প্রযোজ্য? নির্বাচন কমিশনের কাছে সরকারও কোনো অনুরোধ করে নাই। এ প্রশ্নের উত্তর পেতে কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অনেকেই রাজপথে নেমেছে। ঠিক সেই মুহুর্তে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সব কিছুই চলছে, দোকানপাট ব্যবসা-বাণিজ্য সব চলবে। শুধুমাত্র চলবেনা রাজনৈতিক সমাবেশ।
গয়েশ্বর বলেন, এই সরকার করোনা নিয়ে অনেক ছলনা করেছে। যখন করোনা বাড়ে তখন কম দেখায়, যখন কমে তখন বাড়িয়ে দেখায়-এটা মারাত্মক নয়? মানুষও বিশ্বাস করে সরকার করোনা নিয়ে রাজনীতি করছে। শুধু তাই নয়; এই করোনা নিয়েও সরকার দুর্নীতি করেছে। রোগীদের সাথে ছলনা করেছ। করোনার সার্টিফিকেট নিয়ে ছলনা করেছ। নেগেটিভ হলে পজিটিভ আর পজেটিভ হলে নেগেটিভ বলেছে। অনেকে বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়েছে। অনেকে এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, করোনার মধ্যে আমরা বিনামূল্যে অনেক কিছু দিয়েছি। অক্সিজেন পিপি মাস্কসহ অনেক কিছু দিয়েছি। প্রয়োজন হলে আরো দেব। তবে প্রজ্ঞাপন এটা শুধু বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য কি না এ প্রশ্নের উত্তর আর কিছুদিন পরে বোঝা যাবে। দলের মহাসচিব ও তার স্ত্রীর আশু রোগমুক্তি কামনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, দোয়া করি তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, একদিকে সরকারের দমন-পীড়ন নির্যাতন আরেকদিকে মহামারি করোনা এরই মধ্যে আমাদের মহাসচিব দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা মহাসচিব এবং তাঁর স্ত্রীরসহ সকলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সহ- সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ওলামা দলের সদস্য সচিব প্রিন্সিপাল নজরুল ইসলাম তালুকদারসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।