ইসি পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা ভোট চুরির প্রক্রিয়ার অংশ : আমির খসরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৬ এএম, ৯ জানুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৫৯ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি যে আলোচনা শুরু করছেন- সেটিকে আগামী নির্বাচনে ভোট চুরির একটি প্রক্রিয়ার অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা আসছে। যারা ভোট চুরি, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত, গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা হরণের সঙ্গে জড়িত তারা সবাই দেশে-বিদেশে পর্যবেক্ষণে আছেন।
আজ শনিবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলি বাজারে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়ার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি। সমাবেশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে হওয়ার কথা ছিল। তবে ওই স্থানে একই সময়ে জেলা ছাত্রলীগও ছাত্র সমাবেশ ডাকে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন। এরপর শহরের ৫০টির বেশি পয়েন্টে আজ ভোর থেকে ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সকাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের বাস চলাচল বন্ধ থাকে। এ নিয়ে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। দুপুরে শহরের বাইরে বিএনপি’র সমাবেশটি হয়। এতে বিভিন্নস্থানে বাধা পেরিয়ে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা যোগ দেন।
সমাবেশে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন নাকি আলোচনা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আলোচনা শুরু করেছেন। কীসের আলোচনা? যারা ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ তে ভোট চুরি করেছে- সেই চক্র আগামী নির্বাচন ভোট কীভাবে চুরি করবে সেই আলোচনা চলছে। এই আলোচনাটা মূলত হচ্ছে আগামী নির্বাচনের ভোট চুরির একটা প্রক্রিয়ার অংশ। এই চোরদের সাথে আরও কিছু ছেচড়া চোরও আছে। দেশের মানুষ নিবিড়ভাবে এই চোরদের পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি আরও বলেন, চোরদের বলতে চাই- সেই পথ থেকে সরে আসুন। বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। কথায় আছে চোরের দশদিন আর গৃহস্থের একদিন। এই দশদিন পার হয়ে গেছে। এখন চোর ধরতে হবে। যেখানেই এই চোরদের দেখবেন জনগণের সামনে তুলে ধরবেন। এদের বলবেন- তুই চোর, ভোটচোর। এদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশকে মুক্ত করতে জনগণ প্রস্তুতি নিয়েছে। এই জোয়ারে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের কাজ হচ্ছে প্রতিটি অঞ্চল, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন করতে হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব ও সাবেক প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এক. কে. একরামুজ্জামান প্রমুখ।