ভোটের মাঠে আর লাশ দেখতে চাই না নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৪ পিএম, ২ জানুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:২৮ এএম, ১৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি নিজে নির্বাচন মনিটরিং করব। এই এলাকার ভোটারদের মধ্যে যেন ক্ষোভের সৃষ্টি না হয়। আপনাদের সহযোগিতা আমার দরকার। আমার জীবনে আমি অনেক লাশ দেখেছি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমি আর লাশ দেখতে চাই না। আপনারা মনে করবেন না আমরা উদাসীন। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন’।
আজ রবিবার দুপুরে সিটি নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, পুলিশ সুপার মো: জায়দুল আলম, নাসিক নির্বাচনে রির্টানিং কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার প্রমুখ।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছে কিছু কাগজ দিয়েছিলাম। সেই কাগজে আপনারা আপনাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। আপনাদের সবার অভিযোগ আমরা আমলে নিয়েছি, আমরা ব্যবস্থা নেব। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা ভোটারদের বলবেন ভোটকেন্দ্রে যেতে। এরপরও যদি যেতে না পারে তাহলে তো পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব আছে। তাদেরকে জানাবেন, তারা ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, ‘ইভিএমে একটি মাত্র উপায় আছে, সেটি হলো একজনের ভোট আরেকজনের দেওয়ার। সেটা হলো আরেকজন যদি আপনার ব্যালটে টিপ দিয়ে দেয়, এটা হলে সঙ্গে সঙ্গে বাধা দেবেন। এরপরেও বন্ধ না হলে ডকুমেন্টারি অভিযোগ দেবেন। দরকার হলে আমরা ভোট বন্ধ করে দিয়ে পুনরায় ভোটের ব্যবস্থা নেব’।
ইভিএমে একজনের ভোট আরেকজনের কাছে চলে যাওয়া কখনও সম্ভব না। আমার অনুরোধ আপনারা এক্সপার্ট নিয়ে আসেন এবং আমাকে দেখান। প্রমাণ হলে আমি ইভিএমে ভোট করব না। এ আশঙ্কার কোন কারণ নেই’।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা অভিযোগ করেছেন লেভেল পেয়িং ফিল্ড নেই অর্থাৎ কেউ নিয়ম না মেনে মাইক ব্যবহার করছেন আপনি মেনে ব্যবহার করছেন। প্রশাসনের কাছে নির্দেশ নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে মাইক দেখলেই ব্যবস্থা নেবেন। প্রয়োজনে সে মাইক জব্দ করে জেলহাজতে পাঠাবেন। আপনারা যদি অ্যাকশন না নেন তাহলে আপনাদেরও আমরা ছাড় দেবো না’।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের অনেক ক্ষোভ হয়তো আছে। একজন প্রার্থী বলেছেন তিনি একটা ভোট পেয়েছেন। ইভিএমে কেউ একটা ভোট পেলে সেটাকে দুইটা করার সুযোগ আমার নেই। আপনারা কেন এই আশঙ্কা করছেন। ভোট দিতে আসেন আপনাদের ভোট আপনারাই দেবেন অন্য কারও দেওয়ার সুযোগ নেই।