সিরাজগঞ্জে আ'লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, নেই অস্ত্রধারী নাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪৭ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এসব মামলায় জেলা বিএনপির বেশ কজন শীর্ষ নেতাসহ সাত শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে চিহ্নিত অস্ত্রধারী যুবলীগ কর্মীর নাম মামলায় এখনো যুক্ত করা হয়নি।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম আজ শনিবার দুপুরে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্তকালে যদি গণমাধ্যমে প্রকাশিত অস্ত্র হাতে ছবিগুলোর প্রমাণ মেলে, তাহলে অবশ্যই তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, চার মামলার মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি এবং উজ্জ্বল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে অপর মামলাটি করেছেন। এসব মামলার আসামিদের মধ্যে বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, সহসভাপতি আজিজুর রহমান, সহসভাপতি নাজমুল হাসানসহ একাধিক শীর্ষ নেতার নাম আছে।
পরিদর্শক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, মামলা চারটির মধ্যে উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে একটি; এসআই আলীম হোসাইন বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে একটি এবং এসআই মাহমুদ হাসান বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
অপর দিকে পৌর শহরের রেলওয়ে কলোনি মহল্লার আওয়ামী লীগ কর্মী উজ্জ্বল হোসেন বাদী হয়ে ৪০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বা বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ডাকা সমাবেশে মিছিল নিয়ে আসার সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পৌর শহরের সরকারি কলেজ সড়ক, ইলিয়ট সেতু এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭০ নেতা-কর্মী আহত হন।