সরকার বিদায় না হলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে - মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩২ এএম, ৩১ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪১ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় করতে না পারলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। বর্তমান সরকার মানুষের অধিকারকে কেড়ে নিয়েছে। তাই গণতন্ত্র উদ্ধারে, দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য ও তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোট না করেই এই সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। আজকের এইদিনকে আমরা ভোটাধিকার হরণ দিবস হিসেবে পালন করি। আমাদের ভোটের অধিকার ফেরত চাই। গণমাধ্যমে লেখার অধিকার ফিরে পেতে চাই। এখন সরকারের বিপক্ষে গেলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিককে জেলে দেয়া হয়। তিনি বলেন, আজকে র্যাব ও পুলিশের প্রধানকে আমেরিকায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আজকে এর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে লজ্জা পাওয়া দরকার। আজকে সরকার বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। আবার নতুন কৌশল করেছে সরকার প্রিজাইডিং অফিসারকে দিয়ে ভোট চুরি। এই সরকারকে তাড়াতাড়ি বিদায় করতে না পারলে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা পাবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এ দেশে উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধীদলীয় নেত্রী। তিনি এ দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। অবিলম্বে যদি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দেয়া হয় তাহলে এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। সে লক্ষ্যে আমাদের আন্দোলনের ওয়ার্মআপ চলছে। ফুটবল খেলার আগে যেমন খেলোয়াড়রা ওয়ার্মআপ করে নেয়, তেমনি আমরাও সরকার পতনের আন্দোলনের ওয়ার্মআপ করে নিচ্ছি। শিগগিরই সরকার পতনের তীব্র আন্দোলন শুরু হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, সহ-সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি ও সাধারণ সম্পাদক মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপি কামরুজ্জামান রতন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সাবেক ছাত্রনেতা ও নির্বাহী সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি সাঈদ সোহরাব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি ও মেয়র দিনাজপুর পৌরসভা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটি জামাল উদ্দিন খান মিলন, আহ্বায়ক পঞ্চগড় জেলা বিএনপি জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, পৌর বিএনপি সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি আব্দুল হালিম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুন নাহার প্যারিস, ছাত্রদলের সভাপতি কায়েস প্রমুখ।