খালেদা জিয়াকে পৃথিবী থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে - রুহুল কবির রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৫ এএম, ২৯ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:০৪ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
তিন বছর ধরে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে এ সরকার। বেগম জিয়াকে যখন জেলহাজতে পাঠানো হয় তিনি সুস্থ ছিলেন। পায়ে হেঁটে গিয়েছিলেন। জামিনে বের হয়েছেন হুইল চেয়ারে করে। বেগম জিয়াকে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন করার জন্য তাঁর খাদ্যে বিষক্রিয়া করা হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর সেতুর নিচে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসা করানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এসময় বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে ভয়ঙ্কর নীলনকশা করছে আ.লীগ। শেখ হাসিনা আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়। ক্ষমতায় থাকতে খালেদা জিয়াকে একমাত্র পথের কাঁটা মনে করছে সে। এজন্য খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা না দিয়ে পৃথিবী থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্য তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির এদেশের পিতা হওয়ার কথা ছিল। তিনি জনগণের কেউ না। তিনি হয়েছেন আ.লীগের পিতা। মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত এ সভা সঞ্চালনা করেন দলটির জেলা শাখার সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন। সভাপতিত্ব করেন দলটির জেলা আহ্বায়ক আবদুল হাই। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী সোহেল, কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, ইশরাক হোসেনসহ জেলা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতা-কর্মীরা।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আর কোন বেহুদা দিয়ে এদেশে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। আব্দুল হাই বলেন, বিদেশিরা এদেশের বড় বড় চোরদের তালিকা করছে। আপনারাও শহর থেকে গ্রামের সকল চোরদের তালিকা তৈরি করুন। এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগের রাস্তাঘাটের নেতাকর্মীরা কথায় কথায় চিকিৎসার জন্য বিদেশ যায়। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ফাঁসির রায় মওকুফ করে রাতের আঁধারে বিদেশে পাচার করে দেয় রাষ্ট্রপতি। অথচ বেগম জিয়ার বেলায় আইন দেখায় তারা। বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। এদেশের মানুষ সব বোঝে। বেগম জিয়া যদি বর্তমান সরকারের ক্ষমতাকে দীর্ঘ করতে সহযোগিতা করত, তাহলে তাঁকে এত নির্যাতন সহ্য করতে হতো না।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান দানবীয় সরকারের সাবেক সেনা, পুলিশ ও বর্তমান র্যাবের প্রধানসহ সরকারের চোর, রক্ষীবাহিনী, লাঠিয়াল বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সরকারের কুলাঙ্গার মন্ত্রী মুরাদকে কানাডায় গেলে লাথি দিয়ে দুবাই পাঠানো হয়। সেখানে মাটিতে শুয়ে ছিল সে। তাকে সেখান থেকেও বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। তাকে আমরা খুঁজছি। কোথাও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।