মহিমাগঞ্জে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে হরতাল, বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৬ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
গাইবান্ধার সাঘাটার পার্শ্ববর্তি মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফল বাতিলসহ একটি কেন্দ্রে পুণরায় গ্রহণের দাবিতে আধাবেলা হরতাল পালিত হয়েছে। নির্বাচনে পরাজিত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ডাকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মহিমাগঞ্জ বাজারসহ স্টেশন এলাকায় এ কর্মসুচি পালন করা হয়েছে।
আজ সকাল ৯ থেকেই মহিমাগঞ্জ বাজারে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের বের করা হয়। মিছিল বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সকাল সাড়ে ১০ টায় চৌমাথা মোড়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন হরতাল সমর্থকরা। এসময় বক্তব্য রাখেন, নৌকার প্রার্থী রেজওয়ানুর রহমান মুন্সি, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কাদির (আনারস) ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক হামিদুল ইসলাম প্রমুখ।
হরতাল চলাকালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালের সমর্থনে মহিমাগঞ্জ বাজারে কিছু দোকানপাট বন্ধ থাকলেও রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন চলছে স্বাভাবিক। সোমবার রাত ৯টার দিকে একটি কে›েন্দ্রর ফলাফল বাতিলসহ কেন্দ্রটিকে পুণরায় ভোট গ্রহণের দাবিতে হরতালের ঘোষণা দেয় নৌকার পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজওয়ানুর রহমান মুন্সি, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কাদির (আনারস) ও রুবেল আমিন (মোটরসাইকেল)।
আ.লীগের প্রার্থী রেজওয়ানুর রহমান মুন্সির অভিযোগ, ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মহিমাগঞ্জ ইউপির সিংজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নানা অনিয়মের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। কেন্দ্রটির ঘোষিত ফলাফল বাতিল করাসহ পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবিতে মহিমাগঞ্জে আধাবেলা হরতাল ডাকা হয়। হরতালে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মহিমাগঞ্জ ইউপির সর্বসাধারণ সমর্থন জানিয়ে হরতাল পালন করছেন।
চতুর্থ ধাপে মহিমাগঞ্জসহ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে বিছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে মহিমাগঞ্জ ইউপির নয়টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী চশমা প্রতিকের (আ.লীগের বিদ্রোহী) স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান ৭ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বে-সরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দী অপর তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আ'লীগের রেজওয়ানুর রহমান মুন্সি নৌকা প্রতীকে ৫ হাজার ৩০৯, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কাদির আনারস প্রতীক ৬ হাজার ৫৫১ ও রুবেল আমিন শিমুল মোটরসাইকেল প্রতীক ভোট পান ৪ হাজার ৬৯৬। ইউনিয়নে মোট ৩১ হাজার ৭৬৫ ভোটারের মধ্যে ২৪ হাজার ৬৬১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান বলেন, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশেই মহিমাগঞ্জ ইউপির প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। জনগণের ভোটেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। অথচ পরাজিত প্রার্থীরা মনগড়া নানা অভিযোগ করাসহ মহিমাগঞ্জের শান্তিপুর্ন পরিবেশ নষ্টের পায়তারা করছেন।
এদিকে, হরতালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকেই মহিমাগঞ্জ এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করার কথা জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইজার উদ্দিন।