বড়দিন উপলক্ষে তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলের বাণী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪৭ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বড়দিন উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।
বড়দিন উপলক্ষে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-
"শুভ বড়দিন উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
বড়দিন হচ্ছে খ্রিস্টানদের একটি বাৎসরিক উৎসব যেটি প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর পালন করা হয়ে থাকে। সত্য, ন্যায় ও করুণার পথ প্রদর্শক মহান যীশুখৃষ্ট এদিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বিশ্বের সকল খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীর কাছে তাই এ দিনটি অত্যন্ত মহিমান্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ। এই দিন উপলক্ষে মানুষ একে অপরের প্রতি সকল দ্বন্দ্ব-ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে বন্ধুসুলভ হয়ে যায়। পরস্পরের প্রতি শুভেচ্ছাবোধ করে।
সকল ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানব কল্যাণ। যুগে যুগে মহামানবগণ মানুষের সৎ পথে চলার দিশারী হয়েছিলেন। মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন ন্যায় ও কল্যাণের পথে চলতে। মহান যীশুখৃষ্টও একইভাবে তাঁর অনুসারীদের সৎকর্ম ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করে গেছেন। বড়দিন খিস্টানদের বড় উৎসব। উৎসব সর্বজনীন, প্রতিটি উৎসবই মানুষের আনন্দময় সত্তার জাগরণ ঘটায়।
মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য দেশ, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়া। হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার হরে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরণের অন্যায় অবিচার প্রতিরোধে ব্রতী হওয়া সকলের কর্তব্য। মহামানবদের জীবন দর্শন যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলেই মানবকল্যাণে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব। আর তাহলেই স্রষ্টার সন্তষ্টি অর্জনে আমরা সক্ষম হবো।
আমি বড়দিনের সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।"
বড়দিন উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন-
"শুভ খ্রিষ্টমাস বা বড়দিন উপলক্ষে আমি খৃষ্ট ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। কামনা করি তাঁদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
যীশুখৃষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন বিশ্বের সকল খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীর কাছে অত্যন্ত পবিত্র একটি দিন। বিশ্বজুড়ে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালিত হয় অত্যন্ত পবিত্র আনন্দঘন পরিবেশে। বাংলাদেশেও দিনটি সমমর্যাদায় প্রতিবছর উদ্যাপিত হয়।
যুগে যুগে ধর্ম প্রচারকগণ মানুষকে অন্ধকার পথ থেকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে ইহলৌকিক শান্তি ও পারলৌকিক মুক্তির জন্য সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত হতে সবাইকে প্রেরণা যুগিয়েছেন। মহান যীশুখৃষ্টও একইভাবে তাঁর অনুসারীদের অসত্য ও অন্যায়ের পথ পরিহার করে পরিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে উপদেশ দিয়েছেন। শুভ বড় দিন একটি সার্বজনীন ধর্র্মীয় উৎসব।
এই উৎসব ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে সব মানুষের মিলনই শুধু সম্পন্ন করে না, পরোক্ষে নানা সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করে নানাভাবে। সহাবস্থান, শান্তি ও শুভেচ্ছা হচ্ছে উৎসবের মর্মবাণী।
মহামানবদের প্রদর্শিত পথ অনুসরণই বয়ে আনতে পারে সার্বিক কল্যাণ। আমি বড়দিনের সকল আনুষ্ঠানিকতার সাফল্য কামনা করি।"