তৈমুর কাদের থেকে সুবিধা নিচ্ছেন তা শহরবাসী জানে - আইভীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৩ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘জনগণ যাকে পছন্দ করে ভোট দেবে, আগামীতে সে সিটি কর্পোরেশন চালাবে। আমরা যেন কোনো ধরনের সহিংসতা, বিভেদের আশ্রয় না নেই। কারও প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কোনো গলদ (ভুল) কাজ যেন না করি।’
গতকাল বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে নিজ বাসভবনের পাশে খেলাঘর আসরের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে উদ্দেশ্যে করে তিনি এইসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর আলম এই নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
তৈমুর আলমকে ‘কাকা’ সম্বোধন করে আইভী আরও বলেন, ‘আপনি আপনার ভোট চান, আমি আমার ভোট চাইবো। জনগণ যাকে খুশি তাকে নির্বাচিত করবে।’
সরকারি দলের প্রার্থী হলেও কোনো অতিরিক্ত সুবিধা তিনি নিচ্ছেন না জানিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বলেন, গত তিনটি নির্বাচনেও কোনো সুবিধা নেননি তিনি। একবার বিরোধী দলে ছিলেন। অন্য দুইবার সরকারি দলে থেকেও কোনঠাসা অবস্থায় ছিলেন। এইবারও তিনি কোনঠাসা অবস্থায়। এই নির্বাচনে বেশি সুবিধা নিচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম।
তিনি আরও বলেন, উনি কাদের থেকে সুবিধা নিচ্ছেন তা শহরবাসী জানেন। সুতরাং আমি ওইদিকে হাঁটবো না। আমি কোনঠাসা অবস্থায় থেকেই মানুষের দ্বারে যেতে চাই, মানুষের দুয়ারে যেতে চাই। আমি সেবা করতে চাই। আমার স্বার্থ এতটুকুই।’
আইভী বলেন, ‘আমি এই শহরে চাঁদাবাজি করি না, আমার দু-চারটা বাড়িও নাই, ব্যবসাও নাই। আমি তেল ব্যবসা করি না, ঝুটের ভাগ নিতে যাই না। আমার দলের পদ-পদবী নিয়েও আমি প্রতিযোগিতা করি না। আমি এই শহরে নিরীহ মানুষের মতো রাজনীতি করি। আমি মানুষের সেবা করি। এর মানে এই না যে, এই শহরে খুন করবেন, চাঁদাবাজি করবেন আর আমি তাকিয়ে দেখবো। এই চরিত্রের কথা আপনারা জানেন। আমি আইভী এইসব অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে মোকাবেলা করি।’
নৌকা প্রতীকের জন্য মনোনীত প্রার্থী হলেও নিজেকে ‘সকলের আইভী’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। আইভী বলেন, ‘আমার মার্কা আইভীই। আমার মার্কা ছিল মোমবাতি, দোয়াত-কলম, আমার মার্কা ছিল নৌকা। এখনও আমার মার্কা নৌকা হলেও আমি আপনাদের আইভী। এই শহরের মানুষ আমার দ্বারা কখনও নির্যাতিত হবে না। এই কথা মনে রেখে আমার জন্য দোয়া করবেন।
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, খেলাঘর আসরের সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায় প্রমুখ।