উন্নয়নকে অস্বীকার করাও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র - কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২০ এএম, ২০ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৩০ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বীকৃতি দিলে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ গতিশীল হয়। একে অস্বীকার করাও এক ধরনের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের শামিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে।
আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন তিনি। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মাইলফলক স্পর্শকারী বাংলাদেশের অসংখ্য প্রাপ্তি বিএনপি নেতাদের চোখে পড়ে না। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে জাতিদ্রোহী-দেশদ্রোহীদের যেমন গাত্রদাহ হয় ঠিক তেমনি দলটির নেতাদেরও সহ্য হয় না। রাজনৈতিক হীনম্মন্যতার কারণে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্জিত সাফল্যে বিচলিত হয়ে পড়ে দলটি। দেশের সাফল্যকে তারা নিজেদের পরাজয় মনে করে। এমনকি সত্যকে স্বীকার করার সাহস পর্যন্ত রাখে না।
তিনি বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বীকৃতি দিলে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ গতিশীল হয়; উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে অস্বীকার করাও এক ধরনের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের শামিল। ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিএনপি এতোই অন্ধ যে, কোনও উন্নয়ন ও প্রগতি তাদের চোখে পড়ে না।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে কোনও প্রাপ্তি খুঁজে পায়নি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে এ বিবৃতি পাঠানো হয়। কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার জিয়া-মুশতাকের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করার গভীর পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির উত্তরাধিকার এবং একাত্তরের ঘাতক-যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি ও তাদের নেতা মির্জা ফখরুল ইসলামের এই হতাশা ও মর্মবেদনাই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথ বিকাশের প্রধান অন্তরায়।
তিনি বলেন, বিএনপি নামক যে দলটি মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপরাজনীতিতে লিপ্ত, যারা ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে তাদের কাছ থেকে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে কোনও প্রাপ্তি খুঁজে পাইনি’ এ ধরনের মন্তব্যই স্বাভাবিক।
কাদের বলেন, সমগ্র জাতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুগপৎভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ‘মুজিববর্ষ’ মহা-আড়ম্বরে উদ্যাপন করেছে। এমন একটি মহতী ক্ষণে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে কোনও প্রকার ইতিবাচক রাজনৈতিক কর্মসূচি তুলে না ধরে চিরাচরিতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাকর। আমরা তাদেরকে এই ষড়যন্ত্র, অপকৌশল ও অপপ্রচারের রাজনীতি পরিত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঠিক ও সুস্থ রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।