আপোস করলে খালেদা জিয়া বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী থাকতেন - দুদু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:২৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
এক-এগারোতে মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সঙ্গে আপোস করলে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী থাকতেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা আপোসহীন নেত্রী বলি। তিনি অন্যায়ের সাথে আপোসহীন করেননি বলে আজকে কারাগারের মধ্যে আছেন। দীর্ঘ প্রায় তিনটি বছর তাঁকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রেখেছে এই সরকার। তিনি (খালেদা জিয়া) জেনারেল মইনের সঙ্গে আপোস করলে এখন তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকতেন। বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন ওরা (মইন-ফখরুদ্দিন) আমার কাছেও এসেছিল। তারা যে অন্যায় করেছিল সংবিধানকে পদদলিত করে ১/১১ সৃষ্টি করেছিল তাদের সঙ্গে বেগম জিয়া কোনো আপোস করতে রাজি হননি।
আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম কবীর মুরাদের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এক-এগারো ও বর্তমান সরকারের কড়া সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপোস না করার জন্য জেনারেল মইন তাঁকে (খালেদা জিয়াকে) রাজনীতি থেকে শেষ করতে চেয়েছিলেন। আজকের সরকারও বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে অপসারণ করতে চায়। মইনউদ্দিনের কর্মসূচি বর্তমান সরকার পালন করছে। জেনারেল মইন ছিলেন ভারতের সেবাদাস গণতন্ত্র বিরোধী একজন ব্যক্তি। গায়ের জোরে তিনি দুটি বছর বাংলাদেশের সংবিধানকে তছনছ করেছিলেন। আইনের শাসনকে তছনছ করেছিলেন। সেগুলোর সবকিছুকে বৈধতা দিয়েছেন বর্তমান সরকার। অতীতের রাষ্ট্র ব্যবস্থা এবং বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে ভিন্নতা আছে উল্লেখ করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আগের রাষ্ট্র ব্যবস্থা যদি সেটা সামরিক বাহিনী কর্তৃকও হয়ে তাকে সেখানেও বিচার ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, আদালত, নির্বাচন কমিশন যতটা পরিশুদ্ধ ছিল এখন কিন্তু আদালত, নির্বাচন কমিশন এমনকি প্রশাসন একেবারেই দলীয়করণ করা হয়েছে। কোনো পত্রিকা টেলিভিশন যদি বিরোধী দলের পক্ষে কিছু লেখে তাহলে সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়। মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে মুজিব বানানের ভুল ও শপথ বাক্য পাঠের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, কি অদ্ভুত বিষয় সেই অনুষ্ঠানে মুজিব বর্ষ বানান ভুল লেখা হয়েছে কিন্তু কেন ভুল হয়েছে তার কোনো যৌক্তিক কারণ বলা হয়নি। তার সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের নিশীরাতের প্রধানমন্ত্রী এবং তার বোন শপথ বাক্য পাঠ করেছেন। যেখানে নামই ঠিক নাই সেখানে কি শপথ ঠিক আছে? অশুদ্ধ বানানে শপথ কি শুদ্ধ হয়? সেজন্য অনেকেই বলছেন যিনি নিজেই বৈধ না তার নিজেরই শপথ ঠিক নাই তাহলে অন্যের শপথ তিনি কিভাবে পাঠ করান? কবির মুরাদের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যখন যেটা করেছেন সেটারই সপক্ষে ছিলেন কবির মুরাদ। কোনো অবস্থাতেই তিনি বাইরে যাননি। যার কারণে অনেক সময় তার ওপর নির্যাতন নেমে এসেছিল। জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডাঃ আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী রুহুল আলম, মিলিমা রহমান মিলি, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ ।