স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিদ্ধের ইতিহাসের সাথে জিয়াউর রহমান একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ - ডা.শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৮ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:১৬ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র আহবায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার দল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার, জেড ফোর্সের অধিনায়ক। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধ, বিজয় দিবস ও দেশ গঠনে শহীদ জিয়া অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ২৫ শে মার্চ আই রিভোল্ট, উই রিভোল্ট প্রথম বিদ্রোহ, ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিদ্ধের ইতিহাসের সাথে জিয়াউর রহমান অবিচ্ছেদ্য অংশ। যা আওয়ামীলীগ স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা অস্বীকার করলেও এদেশের মানুষ স্বাধীনতার ইতিহাস জানে। এখন আমাদেরকে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।
আজ বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্র, সাম্য, মানবাধিকারের স্বপ্ন নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছিল, আজও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। দেশে আজ নব্য স্বৈরাচারের আবির্ভাব হয়েছে, দেশ আজ লুটেরার হতে জিম্মি। অবৈধ ক্ষমতার মসনদ দীর্ঘায়িত করতে জিয়া পরিবারকে টার্গেট করেছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ অগণতান্ত্রিক সরকারের প্রতিহিংসার স্বীকার। আজ বেগম খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে হত্যার ষড়যেন্ত্র লিপ্ত সরকার। বেগম জিয়া ভীষন অসুস্থ হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সরকারে তাকে বিদেশে পাঠাচ্ছেনা তার একমাত্র কারণ বেগম জিয়াকে বিনাচিকিৎসায় মেরে ফেলতে পরেলেই তাদের অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ী হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষনার মধ্যদিয়ে ‘‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা গণতন্ত্র পেয়েছিলাম৷ দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছেন। কিন্তু, সেই গণতন্ত্র ও অধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত৷ স্বাধনীতার ঘোষকের স্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী আজ চিকিৎসা পচ্ছেনা। দেশে আজ ভোটাধিকার, গণততন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই। বিএনপি দীর্ঘকাল ধরে গণতন্ত্রের আন্দোলন করছে৷ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মী। এই পরিস্থিতি থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নাই। তাই জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে৷'' ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন ঘটাতে পারলেই দেশে সত্যিকারের বিজয় অর্জন হবে৷
চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, দেশকে স্বাধীন করার জন্য বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। আমরা যখন ৫০ বছর পূর্তি পালন করছি, আমরা আমাদের সব অর্জন দেশে বিদেশে প্রতিফলিত করবো, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু আজকে দুঃখের বিষয় আমরা যখন স্বাধীনতার ৫০বছর পালন করছি, তখন বাংলাদেশ একটি অগণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত হলো। অত্যন্ত লজ্জাজনক ব্যাপার। এই লজ্জা থেকে উত্তরণের জন্য বর্তমান অবৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবয়িক কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম'র পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাম উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, নিয়াজ খান, এস এম আবুল ফয়েজ, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম মনজু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, বিএনপির নেতৃবৃন্দ সিহাব উদ্দিন মুবিন, মোহাম্মদ আলি মিঠু, ডা. সরওয়ার আলম, মাহাবুব আলম, ইয়াকুব চৌধুরী, মজিবুল হক, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, হাজী বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, বিএনপি নেতা জেলি চৌধুরী, এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, শাহজাহান, খোরশেদ আলম কুতুরী, ইব্রাহিম বাচ্চু, বেহান উদ্দিন প্রধান, আজাদ বাঙ্গালী, আরিফ মেহেদী, আবদুল হাই, সালাউদ্দিন লাতু, মো. বুলবুল, কৃষক দলের আহবায়ক আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, মৎসজীবী দলের আহবায়ক হাজী নুরুল হক, সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ, ওয়ার্ড সভাপতি এস এম মফিজ উল্লাহ, মো. রফিক চৌধুর, মো. বেলাল, জমির আহম্মদ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কাজী শামছুল আলম, সাধারণ সম্পাদকঃ আশ্রাফ খান, ফিরোজ খান, হাজী এমরান, জসিম মিয়া, ফরিদুল আলম, মনজুরুল কাদের, হাজী জাহেদ, আলি হায়দার, হাসান ওসমান, শফিউল্লাহ, আনোয়ার হোসেন আরজু, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মে. হাসান, মনজু মিয়া প্রমূখ।