শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি - আবুল হাশেম বক্কর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৫ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫০ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল, আজকে বর্তমান সরকারও একই কায়দায় মানুষের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে, তাই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
তিনি বলেন, আজকেও একইভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। সত্য কথা বলার অপরাধে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। দেশের মানুষের ওপর স্টিম রোলার চালাচ্ছে। বর্তমান সরকার ১৯৭১ সালের হানাদার বাহিনীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। তারা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের সম্মানকে ক্ষুন্ন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের একটা আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করেছে এবং তাদের সাতজন কর্মকর্তাকে আমেরিকাতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা খুব পরিষ্কার করে বলেছে, এরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষকে তারা বিনাবিচারে অন্যায়ভাবে খুন করেছে, অত্যাচার নির্যাতন করেছে। বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে, প্রায় ছয়শোর ওপরে মানুষকে গুম করে ফেলেছে। হাজারের ওপর মানুষকে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হয়েছে। অথচ তাদের পক্ষে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীরা সাফাই গাচ্ছে। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে চিহ্নিত হলো গণতন্ত্রহীন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দেশ হিসেবে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতীয় জীবনে একটি বেদনাময় দিন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দুই দিন আগে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। দেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা অপশক্তি তাদের সে প্রত্যাশাকে বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। স্বাধীনতার পর থেকেই অগণতান্ত্রিক শক্তি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করেছে। গণতন্ত্রকে রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা বিভেদ, অনৈক্য এবং সংকীর্ণতার দ্বারা জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
তিনি অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জোর দাবি জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান। বাংলাদেশের মহান মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন তারা। নিজেদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে জনগণকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. এনামুল হক বলেন, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত মুহূর্তে বীর বাঙালি যখন অত্যাসন্ন বিজয়ের আনন্দে উন্মুখ, ঠিক তখন দখলদার বাহিনীর গুপ্ত ঘাতকরা রাতের আঁধারে মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞে। জাতি হারায় তার অসংখ্য মেধাবী সন্তানকে।
মহানগর নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের, যার আদর্শ হবে গণতন্ত্র। কিন্তু বর্তমান সরকার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বড় বাধা।
চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিক বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার মানুষের সর্বজনীন অধিকার, সেটি সমুন্নত রাখতে আমাদের মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলমের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. এনামুল হক, মহানগর বিএনপির সদস্য এড. মফিজুল হক ভুইয়া, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, চট্টগ্রাম মহানগর ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আব্বাস উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা এ্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম মো. সেলিম, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, দৈনিক দিনকাল চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল, এড. নেজাম উদ্দিন খান।
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য হারুন জামান, মাহাবুব আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নগর বিএনপি নেতা সিহাব উদ্দিন মুবিন, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, মজিবুল হক, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস আলী, মো. শাহজাহান, খোরশেদ আলম কুতুবী, আজাদ বাঙ্গালী, আলি আজম চৌধুরী, জেলী চৌধুরী, এড. তারিক আহমেদ, কৃষক দলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাঁতী দলের আহবায়ক মনিরুজ্জমান টিটু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, জমির আহমদ, কাজী শামছুল আলম, আবদুল্লাহ আল সগির, আলাউদ্দীন আলী নূর, খন্দকার নুরুল্ ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমদ, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুরুল কাদের, হাজী মো. এমরান, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, আলী হায়দার প্রমূখ।