শেরপুর পৌর বিএনপির দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১৩ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, আমরা এমন এক ফ্যাসিবাদী সরকারের কবলে পড়েছি, যারা শুধু গণতন্ত্র, মানুষের কথা বলার অধিকার, ভিন্নমতের রাজনীতি ও সংগঠন করার সুযোগই কেড়ে নেয়নি। তারা চিকিৎসার সুযোগ পাওয়ার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। গণতন্ত্রের মা, বেগম খালেদা জিয়ার যখন দ্রুত উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, তখন এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নানা টালবাহানা করছে। তিনি ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে শেরপুর পৌর শহরের গৃদা নারায়ণপুরস্থ বিপ্লব-লোপা মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল মাঠে শেরপুর পৌর বিএনপি আয়োজিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে এসব কথা বলেন। জাতীয় ও দলীয় পতাকা এবং পায়ড়া উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেল।
পৌর বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক এ. বি. এম মামুনুর রশিদ পলাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ ওয়ারেছ আলী মামুন, সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী, ডা. সানসিলা জেবরিন পিয়াঙ্কা। এতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম, অ্যাড. মো. আব্দুল মান্নান, অ্যাড. এম. কে মুরাদুজ্জামান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, ভিপি এস. এম. শহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আবু রায়হান রূপন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আতাহারুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. কামরুল হাসান, জেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. শওকত হোসেন। সম্মেলনে পৌর বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ডের সকল নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ভোটের অধিকার হরণকারী অবৈধ এ আওয়ামী লীগ সরকার আজ উন্নয়নের কথা বলছে অথচ আরও সাড়ে তিন কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত যারা, তারাই আজ দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবসের ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে নির্লজ্জ দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন, এ সরকার বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ভয় পায় বলেই, তাঁকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দিচ্ছে। বিএনপি এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, বাজিগর, অগণতান্ত্রিক, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারকে আর এ দেশের মানুষ দেখতে চায় না। তাই জনগণকে সাথে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এজন্য বিভেদ ভুলে ঐক্যের মাধ্যমে শক্তিশালী সংগঠন গঠনের কোন বিকল্প নেই।
সম্মেলনের উদ্বোধক সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, গণতন্ত্রের মা, আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য আমরা সেরকম কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারিনি। আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে এ অবস্থায়ও আমরা দলকে সুসংগঠিত করার কাজে সময় দিচ্ছি। ভোটারবিহীন স্বৈরাচারী এ আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন আইনের শাসন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র কোনটির নিশ্চয়তা নেই। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ও সরকার হঠাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। তাই একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনের মধ্য দিয়েই এ সরকার পতনের আন্দোলনের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
সম্মেলনের শুরুতেই দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তি ও গুম-খুন হওয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে পৌর বিএনপির সকল কাউন্সিলরদের সর্বসম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে প্রভাষক এ. বি. এম মামুনুর রশিদ পলাশকে সভাপতি ও আবু রায়হান রূপনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।