খালেদা জিয়ার অধিকার হরণ করে আ'লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে- ডা. শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৩ এএম, ১১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২১ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করেই আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। এই যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা আজকে এই দেশ সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রবিহীন হয়ে পড়েছে। এই দেশে আজ মানুষের কোনো অধিকার নেই, ভোটের অধিকার নেই। সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করা হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। কিন্তু সরকার তাকে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এটা মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং অমানবিক। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার মৌলিক অধিকার হরণ করে আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
তিনি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করার আহবান জানান।
আজ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে তিনি মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় একথা বলেন।
প্রস্তুতি সভায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ৩ দিনের কর্মসূচী গ্রহন করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা, ১৫ ডিসেম্বর বুধবার বিকাল ৩ টায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা, ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত বিজয় র্যালী। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমান ভোটার বিহীন সরকার বাংলাদেশকে শেষ করে দিয়েছে, ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আজকে দেশের এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে জাতিকে বের করে আনতে হবে। আমাদেরকে তৈরি হতে হবে। রাজপথে আমাদের বীর সৈনিকরা যেভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন, যেভাবে সব অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে আমাদেরকে সেভাবে এগোতে হবে। দেশনেত্রীকে মুক্ত করে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, শিহাব উদ্দীন মোবিন, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, ডা. নুরুল আবছার, মো. সেকান্দর, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, জসিম উদ্দিন জিয়া, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গির আলম, হাবিবুর রহমান, নগর বিএনপি নেতা মো. বখতেয়ার, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, ইদ্রিস আলী, আবদুল আজিজ, আলী আজম চৌধুরী, নগর কৃষক দলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, তাতীদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, থানার সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুজ্জামান জুনু, নাজমুল হুদা চৌধুরী নাজিম, শাহিন আহমেদ কবির, মো. জাহেদ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, কাজী শামসুল আলম, ফয়েজুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল ছগির, মো. বেলাল, জমির আহমদ, মো. ইলিয়াছ, আলাউদ্দিন আলী নুর, হুমায়ুন কবির সোহেল, ইলিয়াছ চৌধুরী, সাইফুল আলম, মো. আসলাম, শরিফুল ইসলাম, রাসেল পারভেজ সুজন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, সাদেকুর রহমান রিপন, এস এম আবুল কালাম আবু, সাব্বির আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, হাসান ওসমান চৌধুরী, মো. শফি উল্লাহ, হাজী আবু ফয়েজ, আনোয়ার হোসেন আরজু, কামরুল ইসলাম, অঙ্গসংগঠনের এম এ গফুর বাবুল, আমান উল্লাহ আমান, জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দীন নাহিদ প্রমুখ।