নাঙ্গলকোটে নৌকা সমর্থকদের হামলায় ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৬ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫৫ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম এ হামিদের সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা শাকিলকে পিঠিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী হুমায়ূন কবির মজুমদারের সমর্থক বাবুল গাজী মেম্বারের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাধবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহষ্পতিবার রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
নিহত শাকিল উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। আজ শুক্রবার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় থানা পুলিশ। এঘটনায় এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চম ধাপের পেরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল নিয়ে পেরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হামিদ গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় মাধবপুর গ্রামের কামালের গরুর খামারের সামনে পথসভা করেন। এসময় মাধবপুর গ্রামের ইউপি মেম্বার বাবুল গাজীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুফ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে পথসভায় হামলা করে। হামলায় শাকিলসহ ৫-৬ জন আহত হয়। ওইসময় শাকিল উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নে পানকরা গ্রামের তার খালা রিনা বেগমের লাশ দাফন করে আশারকোটা নিজ গ্রামে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন।
আহতরা হলেন, মাহফুজ (৩২), ফরহাদ (২০), ফরিদ (২৫), মোহন (২৮), রুবেল (২৫)। সন্ত্রাসীরা শাকিলের মাথায়, গায়ে কুপিয়ে এবং এলোপাতাড়ি পিঠিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় পাশ^বর্তী খালে ফেলে দেয়। খবর পয়ে শাকিলের চাচা গোলাফ হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় খাল থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত শাকিলের পিতা আবুল খায়ের বলেন, সে গত এক মাস পূর্বে ঢাকা থেকে ছুটিতে বাড়ি আসে। গত বুধবার রাত সাড়ে ৭টায় সে তার খালা রিনা বেগমের লাশ দাফন করে বাড়ি আসার পথে হামলার শিকার হয়। আমি ছেলে হত্যার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ হামিদ বলেন, মাধবপুর গ্রামে আমার পথসভা চলাকালীন ইউপি মেম্বার বাবুল গাজীর নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমার পথসভায় হামলা করে। এসময় হামলায় ৫-৬ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে শাকিলের মৃত্যু হয়। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার বাবুল গাজীর মুঠো ফোনে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী হুমায়ূন কবির মজুমদার বলেন, আমার সমর্থক অনেকেই থাকতে পারে। তবে এ ঘটনার অপরাধিকে আইনের আওতায় আনার দাবী করছি।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, এব্যাপারে এখনো মামলা হয় নাই। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।