শরীয়তপুরে আ'লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত- ৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩৭ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
শরীয়তপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদার এবং চিতলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুস সালাম হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাতটার দিকে সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের গাজারবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত ব্যক্তিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত কয়েকজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আবদুস সালামের সমর্থক মজুমদার কান্দি গ্রামের বাসিন্দা লিটন ব্যাপারীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। আবদুস সালামের দাবি, হারুন অর রশিদের সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছেন। আজ সকালে তাঁর চাচাতো ভাই মানিক হাওলাদার গাজারবাজারে গেলে হারুন অর রশিদের সমর্থকেরা তাঁর ওপরও হামলা করেন।
এ ঘটনার পরপরই দুই পক্ষের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পালং মডেল থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় সাতটি পরিত্যক্ত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনে হারুন অর রশিদ হাওলাদারকে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। এদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলেও পরে দলীয় চাপে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তখন হারুন অর রশিদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
কিন্তু পরে ওই ইউপির ৯টি ওয়ার্ড ও ৩টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য পদের ৪৮ প্রার্থীর স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন চিতলিয়া ইউপির নির্বাচন বাতিল করে। এর পর থেকে হারুন অর রশিদ ও আবদুস সালামের বিরোধ আরও বৃদ্ধি পায়।
হারুন অর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, ‘সালাম ও মানিক হাওলাদারের লোকজন আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এতে আমার ২৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, গতকাল হারুন অর রশিদের সমর্থকেরা তাঁর এক সমর্থককে কুপিয়ে আহত করেছেন। এরপর আজ সকালে গাজারবাজারে তাঁর চাচাতো ভাইয়ের ওপরও হামলা চালানো হয়। এ সময় তাঁর লোকজন হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
জানতে চাইলে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।