খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে ২০ ডিসেম্বর হতে সব জেলায় সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৫ এএম, ৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:০৯ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণের দাবিতে আগামী ২০ ডিসেম্বর হতে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। সোমবার রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
আলোচনা শেষে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়।
১। সভায় বিগত ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ পঠিত ও অনুমোদিত হয়।
২। সভায় মাননীয় চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সভাকে অবহিত করেন। সভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তির জন্য পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালার কাছে দোয়া করা হয়।
৩। আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়। সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সুবিধামত সময়ে আলোচনা সভা এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভোরে সূর্যোদয় সময়ে সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ১০.৩০মি: শেরে বাংলা নগরে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-এর মাজার জিয়ারত ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, বিজয় র্যালি এবং আলোচনা সভার অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয় এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৪। সভায় আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনের জন্য স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে মানবাধিকার বিষয়ক কমিটিকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
৫। সভায় অবৈধ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জিয়া পরিবারের সদস্য বিশেষ করে নারী সদস্যদের নিয়ে চরম অশালীন, অরুচিকর সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শিষ্টাচার বিবর্জিত সম্মানহানিকর কুৎসিত বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা, নিন্দা ও প্রতিবাদ করা হয়। সভা মনে করে, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল পদে থেকে এই ধরনের নারী বিদ্বেষী, বর্ণবাদী, সমাজ বিরোধী বক্তব্য ও সংবিধান বিরোধী এই বক্তব্যের মাধ্যমে সমগ্র নারী সমাজ এবং মানবতাকে হেয় করা হয়েছে। সভায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডা: মুরাদকে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রী সভা থেকে অপসারণ ও প্রকাশ্যে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। সভায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৬। সভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণের দাবিতে আগামী ২০ ডিসেম্বর হতে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সব সমাবেশে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।