চূড়ান্ত লড়াইয়ে জয়ী হতে রক্ত দিতে প্রস্তত ছাত্রদল : কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি কাওসার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১১ পিএম, ৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪২ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণদাবি আদায়ের সংগ্রামে অতীতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে, আত্মত্যাগ করেছে। তাদের রক্তের বিনিমিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন ইতিহাস। অবৈধ অনির্বাচিত রাতের ভোটে ক্ষমতা দখলকারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের আসন্ন চূড়ান্ত অভ্যূত্থানেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রক্ত দেয়ার জন্য প্রস্তত। কিন্ত এবার শুধু রক্ত দেওয়া নয়, পাল্টা আঘাতে রক্ত নেয়ার পালা। গণতন্ত্রের সংগ্রামের আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ও ফ্যাসিবাদের পতন নিশ্চিত করতে ছাত্রদলের তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চূড়ান্ত প্রস্ততি চলছে। এই সংগ্রামে বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদলের একজন কর্মীও ঘরে ফিরে যাবেনা।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার দাবিতে শনিবার খুলনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা কাওসার এসব কথা বলেন। বিকেলে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর ও জেলা ছাত্রদল যৌথভাবে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর ছাত্রদলের আহবায় ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি। স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি। গোলাম মোস্তফা তুহিন ও মো: তাজিম বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হুমায়ুন কবির রুবেল, মশিউর রহমান রুবেল, গাজী শহিদুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ, সাইফুল ইসলাম খান, মো: হাসান ফকির, সৈয়দ ইমরান, রিয়াজুল ইসলাম খান মুরাদ, হাসিবুর রহমান সাদ্দুম, হেদায়েতউল্লাহ দীপু প্রমুখ।
এর আগে মহানগর ও জেলা ছাত্রদল ও বিভিন্ন থানা ও ইউনিট থেকে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের খন্ড খন্ড মিছিল সমাবেশস্থলে যোগ দেয়। নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট খারাপ আবহাওয়া উপেক্ষা করে একের পর এক মিছিলে পরিপূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশ অঙ্গন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সমগ্র এলাকা। কোন রকম টালবাহান না করে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে বলা হয়, দেশনেত্রীর কোন ক্ষতি হয়ে গেলে আওয়ামী লীগকে চরম মাশুল দিতে হবে।